বিউটি আক্তার (৪০) নামের এক প্রবাসী মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়র সানরাইজ কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে উক্ত নারী।
নিহত বিউটি আক্তার মোটরা গ্রামের মোসলেম মাতুব্বরের মেয়ে। বিউটি তার স্বামীর কাছে সৌদি থেকে পাঠানো টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত বিউটি আক্তারের প্রথমে শিবচর উপজেলার সূর্যনগর এলাকার শাহজাহান সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে হওয়ার পর প্রায় ছয় বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিউটির ডিভোর্স হয়।
এরপর ৩ সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি মোটরায় চলে আসে। পরে সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য বিউটি সৌদি আরবে চলে যায়। সৌদি আরব থেকে দুই বছর আগে দেশে এসে পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার লুৎফর সঙ্গে তার বিবাহ হয়।
বিবাহের কিছুদিন পরেই বিউটি আবার সৌদি আরবে চলে যায়। বিদেশ গিয়ে সমস্ত টাকা দ্বিতীয় স্বামী লুৎফরের কাছে পাঠিয়ে দিত। ৪-৫ মাস আগে বিউটি দেশে এসে স্বামীর কাছে তার পাঠানে টাকার হিসাব চায়।
এই নিয়ে বিউটি ও তার স্বামী লুৎফর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হয়। টাকা চাইলেই বিউটির কপালে নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতন ও টাকার শোকে প্রাণ দেয় বিউটি।
ছেলে জাহিদ আরও জানান, আমার মা বিদেশ থেকে কামাই করা সব টাকা দিত লুৎফরের কাছে। বাড়ি এসে টাকা চাইলে লুৎফর তাকে মারধর করত। গত সপ্তাহে আমার মাকে মারধর করলে তাকে আমি ফরিদপুর হসপিটালে ভর্তি করি।
তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর আমার মা নানা বাড়ি চলে আসে। একমাত্র লুৎফরের অত্যাচার ও টাকা শোকে আত্মহত্যার পথ বেচেঁ নেয়। আমি লুৎফরের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি আমার এক অফিসারকে পাঠিয়েছি। নিহতের ঘটনা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post