বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনলাইন পোর্টালে নতুন করে অনুমোদিত ডিমান্ড জমা হবার সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার সময় সংবাদকে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১৫টি উচ্চ দেশ থেকে নতুন করে ফরেইন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানের (পিকেপিপিএ) মাধ্যমে উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবা খাতে বিদেশি কর্মী নেয়ার কোটা অনুমোদনের আবেদন স্থগিত করা হয়। তবে গত ১৮ মার্চের পর থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনলাইন পোর্টালে নতুন করে অনুমোদিত ডিমান্ড জমা হবার সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও প্রায় প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের নতুন ডিমান্ড হাই কমিশনের অনলাইন পোর্টালে জমা হচ্ছে।
গোলাম সারোয়ার জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি নতুন শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ড দূতাবাসের পোর্টালে জমা হয়েছে এবং প্রতিদিন নতুন ডিমান্ড জমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি ২৮ এপ্রিল প্রায় ৩ হাজার নতুন শ্রমিকের ডিমান্ড হাই কমিশনের পোর্টালে জমা পড়েছে বলেও তিনি জানান। হাই কমিশন ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ড সত্যায়িত করেছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি নতুন কর্মী মালয়েশিয়া এসে পৌঁছেছেন। হাই কমিশনে ডিমান্ড সত্যায়ন প্রক্রিয়া যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশসহ ১৫টি উচ্চ দেশ থেকে নতুন করে বিদেশি কর্মী নেয়ার কোটা অনুমোদনের আবেদন স্থগিত করে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। ফরেইন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানের (পিকেপিপিএ) মাধ্যমে উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবা খাতে নতুন করে কোটা অনুমোদনের আবেদন স্থগিত করা হয়েছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post