শরীরে মেলানিনের অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় কালচে দাগ দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায়, আঙুলের গাঁটের উপরের ভাগ কালচে হয়ে যায়। মেলানিনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে এমনটি হতে পারে। তাছাড়া এটি অন্য কোনো রোগের উপসর্গও হতে পারে।
এটোপিক আছে এমন লোকদের সাধারণত আঙুলের গাঁটে কালচে দাগ দেখা যায়। এটোপিক আছে এমন লোকদের ত্বক এবং শ্বাসতন্ত্র খুব সংবেদনশীল। পরাগ, ধূলিকণা, কৃত্রিম রঙের গন্ধেও তাদের সমস্যা হয়। এ ধরনের সমস্যা থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কালচে দাগ দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কালচে দাগ গাঢ় হয়ে যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন রোগের কারণে শরীরে বিশেষ কোনো ভিটামিনের ঘাটতি এবং কিছু ওষুধের প্রভাবে আঙুলের গাঁটের উপরে কালচে দাগ দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের করা বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের ত্বকের কোনো নির্দিষ্ট অংশে কালচে দাগ দেখা যায়, তাদের মধ্যে ১৯.৬ শতাংশ অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিকানসের শিকার।
অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিক্যানস রোগ হলে শরীর ও ত্বকের কোষগুলো ইনসুলিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। যদি শরীরের কোষগুলো ইনসুলিন ব্যবহার না করে তাহলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে কপাল, গালের পাশ, বাহু এবং কুঁচকিতে পুরু এবং কালো দাগ তৈরি হয়।
শরীরে ডায়াবেটিস রোগ বাসা বাঁধলেও দেহের বিভিন্ন অংশে কালচে দাগ পড়তে পারে। শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হলেও এমন সমস্যা হতে পারে। অ্যাডিসন রোগের ক্ষেত্রেও এমন দাগ দেখা যায়।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post