ওমানে গত চার দিনে তিন হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। একই সাথে দেশটিতে নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তারাসুদ অ্যাপের মতে, মোট ১৬ হাজার ৭৮৭ জন রোগী এখনও এই রোগের সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন। দেশটিতে প্রায় ২১ হাজার ২০০ জন এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যু ১৬৩ জন এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১,৮৫,১০০ জন। বর্তমানে আইসিইউতে আছেন ১১৮জন এবং হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪২৩ জন।
ওমানের মাস্কাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬২ জন এবং ৪৯৩ জন এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন। যা মোট সুস্থ হওয়া রোগীর ৫৭ শতাংশেরও বেশি। করোনা থেকে এখন পর্যন্ত মাস্কাটে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৯১৮ জন। উত্তর আল বাতিনাহতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২৩০ জন। এলাকাটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬৬০ জন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৯৬ জন। দক্ষিণ আল বাতিনাহতে করোনা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ১০১ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬২ জন যার মধ্যে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৭ জন।
আরও পড়ুনঃ ওমান থেকে চতুর্থ পর্বে ১৬ টি ফ্লাইটে দেশে ফিরছে ভারতীয়রা
দক্ষিণ আল শারকিয়াহতে করোনা রোগীর সুস্থ হওয়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ। এলাকাটিতে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ জন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩৩ জন। উত্তর আল শারকিয়াহ এলাকায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ জন। এখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৩ জন যাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩০১ জন। আল দাখিলিয়াতে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬৮৭ জন। নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন ও সুস্থ হয়েছেন ২৪ জন।
ধোফার এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪৩ জন যাদের মধ্যে ১৭৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন। আল দাহিরাতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৪১৪ জন নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। আল ওস্তা এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ১৯৩ জন যার মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৬৬ জন। মুসান্দামে এ পর্যন্ত সংক্রমণের সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগী রয়েছেন। এলাকাটিতে আক্রান্তের পরিমাণ ১৬ জন যাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন।
আরও পড়ুনঃ ওমান প্রবাসীদের জন্য আসছে দারুণ সুযোগ!
ওমানের দক্ষিণ আল বাতিনাহতে করোনায় মারা গিয়েছেন ১৮ জন, উত্তর আল বাতিনাতে ১২ জন, দক্ষিণ আল শারকিয়াহ ও আল বুড়াইমি এলাকায় দুই জন করে চারজন রোগী মারা গেছেন। মুসান্দাম ও আল ওস্তা এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনও রোগী মারা যাননি। তারাসুদ অ্যাপের সূচক অনুযায়ী আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ্যের সূচক কিছুটা কম তবে মৃত্যুর সূচক স্থিতিশীল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post