শাওয়ালের ৬ রোজার ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখল অতঃপর এ রোজার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল।’ (সহিহ মুসলিম, ১১৬৪)।
কারো যদি রমজানের রোজার কাজা থাকে (অসুস্থতা কিংবা নারীদের হায়েজ-নেফাসের কারণে) তাদের জন্য নিয়ম ও করণীয় হলো—‘শাওয়াল মাসে তাদের কাজা রোজাগুলো আগে পূর্ণ করে নেবে। তারপর তারা শাওয়ালের ৬ রোজা পালন করবে। কেননা ‘..যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে রোজা পুর্ণ করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে।’ (আল মুগনি: ৪৪০)
সুতরাং আগে রমজানের রোজা পূর্ণ করবে, তারপর শাওয়ালের ৬ রোজা রাখবে—তবেই সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব মিলবে।
আলেমদের মতে, রমজানের ছুটে যাওয়া রোজার কাজা আদায় করা ফরজ। কারণ, রমজানের রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি আর শাওয়ালের ৬ রোজা নফল ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত। তাই এই ইবাদতের আগে ফরজ ইবাদত পালনপ্রাধান্য পাবে এবং ফরজের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়াকে অন্য মুস্তাহাব আমলের উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে।(ফতোয়া সমগ্র ১৯/২০)
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post