রাতের আকাশে উড়তে থাকা এ আলো কোন উৎসবের নয়। এর মধ্যে রয়েছে ভাই হত্যার প্রতিশোধ আর স্বাধীনতার অধম্য স্পৃহা। যা ছুটে যাচ্ছে ইজরাইলি ভূমির দিকে। ইজরাইলি সেনার পবিত্র আলআকসা মসজিদের মুসুল্লিদের উপর হামলার পর থেকে উত্তেজনার শুরু। টানা কয়েকদিন মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসায় দফায় দফায় হামলা চালায় ইজরাইলি পুলিশ। এমন কি তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদে ইতেকাফ ও ইবদাত রত মুসল্লিরাও। এসব ঘটনায় হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ করায় ফিলিস্থিন সহ ঘোটা মুসলিম বিশ্বের।
আল আকসায় ইজরাইলি পুলিশের হামলা ও মুসল্লিদের মারধরের প্রতিশোধ নিতে তেল আবিব কে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্তাকার স্বাধীনতাগামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির হাতে রয়েছে কাসাম এর মত সল্প পাল্লার কিছু রকেট। সংষ্করন ভেদে এই রকেটের রেঞ্জ ৮ থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে। ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ফাজার ৩ ও ফাজার ৫ নামের কয়েকটি সংষ্করন ব্যবহার করে থাকে হামাস। যার রেঞ্জ ৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। হামাসের হাতে যতগুলো ক্ষেপনাস্থ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেঞ্জের এমচি ০২। যা ১৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ বস্তুকে হামলা চালাতে সক্ষম।
এবার উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে লেবানন। দখলদার ইজরাইলে ভূমি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে দেশটি। কিন্তু লেবানন থেকে লক্ষ ইজরাইলকে, কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। একটি, দুইটি নয় মোট ৩৪টি রকেট ছোড়া হয়েছে সেখান থেকে। ইজরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৫টি রকেট ধ্বংস করতে পারলেও বাকি ৯টি আছড়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে।
লেবানন ভুখন্ড থেকে কারা চালালো এ হামলা উঠেছে এমন প্রশ্ন। সবার আগে আঙ্গুল উঠেছে হিযবুল্লাহর দিকে। ইরান সমর্থিত এই মিরিসিয়া বাহিনীর সঙ্গে ইজরাইলের শত্রুতার ইতিহাস বহু বছর পুরোনো। ইজরাইল ২০০৬ সালে দেশটিতে আগ্রাশন চালালে প্রতিরোধ গড়ে তুলে হিযবুল্লাহ। তাদের রকেটের সামনে এক কথায় যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয় তেলআবিব। সশস্ত্র গোষ্টিটির হাতে রয়েছে স্বল্প ও মধ্য পাল্লার কিছু রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম ফাতেহ ১১০। যার রেঞ্জ ২৫০ কিলোমিটার। এর মাধ্যমে হামলা চালানো যাবে ঘোটা ইজরাইলে।
গেলো রোববার রাতের দিকে সিরিয়া থেকেও হামলা চালানো হয়েছে ইজরাইলে। সিমান্ত এলাকা থেকে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো হয় এ হামলা। যদিও এর প্রতিটি হামলা রুখে দিয়েছে ইজরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডম। ইজরাইলের চারপাশ ঘিরে রয়েছে তার চিরো শত্রু ইরান সমর্থন নানা গোষ্টি। যার মধ্যে রয়েছে লেবাননের হিযবুল্লাহ, গাজার হামাস, সিরিয়ার আসাদ সমর্থিত বাহিনী ও আইআরজিসের কোচ ব্রিগেট । দিন দিন এসব গোষ্টি যেভাবে শক্তিশালি হচ্ছে তাতে আরও বড় চ্যালেঞ্চ এর মুখে পড়বে ইজরাইল, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেশকরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post