নানা টানাপড়েনের মধ্যেও অর্থনীতির শিরায় রক্ত সঞ্চালন করে চলছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। নানা শঙ্কার মধ্যেও রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। বর্তমান সময়ে প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বাড়ছে গত মাসের চেয়ে।
এই সুসংবাদটিকে পেছন থেকে খাবলে ধরছে হুন্ডি। রেমিট্যান্স বাড়ার পাশাপাশি হুন্ডি কমলে তা হতো বেশি জাগানিয়া। কিন্তু, হুন্ডিও বাড়ছে। বেশি লাভের মোহে হুন্ডিতেও ঝুঁকছে প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা দেশ সৌদি আরব। দেশটি থেকে গত এক বছরে রেমিট্যান্স কমেছে ২০ দশমিক ২২ শতাংশ।
গত অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৩১১ কোটি ডলার। আর চলতি অর্থ বছরের একই সময় রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৮ কোটি ডলার।
একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ওমানে। বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ২৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬১ কোটি ডলার।
আর চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এসেছে মাত্র ৩৮ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স কমেছে বাহরাইনেও। দেশটি থেকে প্রবাসী আয় আসা কমেছে ১২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে এসেছিল ৩৬ কোটি ডলার। এ ছাড়া কুয়েত থেকেও ৭ শতাংশ রেমিট্যান্স কমেছে।
ওমানের রুই, হামরিয়া, মাতরাহ, রেসিল, মোবেলা ও বারকা সহ বেশকিছু অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এইসব অঞ্চলে গুটি কয়েক বাংলাদেশি রমরমা হুন্ডি ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
দোকানে প্রকাশ্যে বিকাশের পোষ্টার লাগিয়ে তারা হুন্ডি ব্যবসা করলেও কেউ কিছু বলছেনা। এদের মধ্যে প্রবাসী অধিকার পরিষদের বেশকয়েকজন নেতাও জড়িত রয়েছেন।
ওমানে হুন্ডির অন্যতম হোতা ভিপি নূরের দলের সদস্য। সম্প্রতি ভিপি নূর ওমান ভ্রমণ করে উক্ত হুন্ডি নেতার আমন্ত্রণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে গোপন সূত্রে। হুন্ডি বন্ধে দূতাবাসের আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ওমানের বিশিষ্ট প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post