ঈদ সামনে রেখে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পিতলের তৈরি রুলিবালার।স্বর্ণের আকাশচুম্বী দামের কারণে বিকল্প গহনার দিকে ঝুঁকছেন সবাই। স্বল্প মূল্যের এ গহনার চাহিদার কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে ৮০০ নারী পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে নওগাঁ শহরের দফতরিপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৮০০ নারী পুরুষ ব্যস্ত রুলি বালা তৈরিতে। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে যেন কোনো সোনার খনিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। কেউ পিতলের পাত সাইজ করে কাটছেন, মুখ জোড়া দিচ্ছেন, কেউ আগুনে পোড়াচ্ছেন আবার কেউ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে চুড়িতে সোনার রঙ দিচ্ছেন।
এসব রুলি বালার মূল উপাদান পিতলের পাত। চীন থেকে পিতলের পাত এনে তা কেটে পাইপ আকারে গোল করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে চলে নকশার কাজ। এক কেজি পিতলের পাত থেকে ৪০ জোড়া চুড়ি তৈরি হয়। প্রতিজোড়া চুড়ি তৈরিতে পিতলের পাত, কেমিকেল, বিদ্যুৎ ও শ্রমিকসহ খরচ পড়ে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আর এসব চুড়ি পাইকারিতে বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় হয় কারিগরদের। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক তরুণ-তরুণী কাজ করে উপার্জন করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে ব্যাপক কদর বেড়েছে পিতল থেকে তৈরি এ চুড়ির। স্বল্প মূল্যের এসব চুড়ির চাহিদা বাড়ে মেলা বা উৎসবে। আসছে ঈদে বাড়তি সরবরাহে চুড়ি তৈরির এসব কারিগরদের তাই দম ফেলার সময় নেই। নওগাঁ সদরের দফতরি পাড়ায় নারী শ্রমিক শিল্পী, রুবিনাসহ কয়েকজন জানান, পিতলের পাত কাটার পর সাতটি ধাপে কাজ করতে হয় এসব রুলিবালায়। এরপর চূরান্ত স্বর্ণের রঙ দিয়ে বাজারজাত করা হয়।
কারখানায় কাজ করা শিক্ষার্থীরা জানান, এখানে কাজ করে সপ্তাহে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা পাওয়া যায়। এতে পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারে সহযোগিতা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post