মুন্সিগঞ্জ সদরে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ঘরে আটকে প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে ফয়সাল সরকার নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের ঘাসিপুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মায়া বেগম অভিযুক্ত ফয়সাল সরকারের সম্পর্কে মামি।
ভুক্তভোগী মায়া বেগমকে (৪২) প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। সে ঘাসিপুকুরপাড় এলাকার দুলাল সৈয়ালের স্ত্রী।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মহিশপুর এলাকার ফরিদ সরকারের ছেলে ফয়সাল এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। সম্প্রতি তার মামা দুলাল সৈয়াল প্রবাস থেকে দেশে আসেন।
বুধবার সকালে একই ইউনিয়নের ঘাসিপুকুরপাড়ে মামাবাড়ি গিয়ে ফয়সাল তার মামির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সহযোগী জয় নামের আরেক যুবককে সঙ্গে নিয়ে ঘরে আটকে বেদম মারধর করেন
। এসময় মায়া বেগমের ঘর ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেওয়া হয়। পরে মায়া বেগমের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত মায়া বেগম বলেন, ‘ফয়সাল এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। গোলাবারুদ কেনার জন্য আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে ঘরে আটকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে। আমাকে মেরেই ফেলতো। আমার গলার চেইন-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ফয়সাল সরকার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘এলাকার সবাই মিলে তাকে মারধর করেছে। আমি সঙ্গে ছিলাম। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে।’
সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহীন বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফয়সাল সরকারের বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post