টিকটকে পরিচয়, এরপর প্রেম। সেই প্রেমের টানে প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে। এ নিয়ে বর্তমানে এলাকা বেশ সরগরম।
ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের পাপরাইল গ্রামে। পালিয়ে যাওয়া গৃহবধু অনামিকা ওই গ্রামের শংকর হালদারের স্ত্রী। এবং একই উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের রতন মন্ডলের মেয়ে। ২০১৬ সালে শংকর হালদারের সাথে অনামিকার বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় একা একা ঘরে বসে টিকটক করতেন অনামিকা।
বিয়ের পরেই শংকর মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। দীর্ঘপ্রবাস জীবনে স্ত্রীকে বিশ্বাস করে তার নামে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেন। সেই একাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় টাকা-পয়সা স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।
গত (২৯ মার্চ) বুধবার শংকর হালদারের পরিবারের সদস্যরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাপমোচনে পূণ্যস্নানের তীর্থ ভূমি নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপূত্র নদে যান। সেই সুযোগে অনামিকা পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান । এ ঘটনায় ভেদরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন শংকর হালদারের মা ভরত চন্দ্র হালদার।
শংকর হালদারের মা জানান, তার পুত্রবধুসব সময় ঘরের ভিতরে টিকটক করতো। আজ আমার ছেলের সব কিছুনিয়ে চলে গেছে। আমার সব কিছুশেষ করে দিয়েছে। শংকরের বোন পুতুল হালদার জানান, আমার ভাইয়ের সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই বাসায় ঝামেলা করতো।
আমার ভাই বিদেশ যাওয়ার পর সব সময় খারাপ আচরন করতো। ঘরের ভিতর বসে সময় টিকটক করতো। আজ আমার ভাইকে নিঃস্ব করে সব নিয়চলে গেলো। আমরা প্রশানের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান লিটন মোল্লা জানান, টিকটকের মাধ্যমে সম্পর্কেকরে আমার ইউনিয়নের শংকর নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী সব কিছুনিয়ে চলে গেছে। এটা খুবই গর্হিত কাজ। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। প্রশানের কাছে এ পরিবারের ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহালুল বাহার জানান, এই ঘটনায় প্রবাসীর পরিবারের পক্ষ হতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে মামলা করতে পারেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post