মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (৫ এপ্রিল) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে জানান, গত রোববার ও সোমবার (২ ও ৩ এপ্রিল) রাজধানী কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর রাজ্যে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
দুদিনব্যাপী ওই অভিযানে প্রবাসীদের চালানো একটি অবৈধ অর্থ পাচারকারী চক্রের মূল হোতাসহ ২৯ জনকে আটক করা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আটক হওয়া চক্রের বেশিরভাগ সদস্যই বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
রেস্তোরা, মুদি দোকান, কসমেটিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রির আড়ালে অর্থ পাচার করে আসছিলেন তারা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। আটক হওয়াদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি, ৫ জন ভারত ও ১০ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
তবে এখনও তাদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি অভিবাসন পুলিশ। এছাড়াও আলাদা অভিযানে চক্রের মূল হোতা ৪৫ বছর বয়সী এক ইন্দোনেশীয় নাগরিক ছাড়াও ১ জন করে ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ ৫২৭ মালয়েশীয় রিঙ্গিতের পাশাপাশি কয়েকটি মোবাইল ফোন, বিদেশে পাঠানো অর্থের নথিপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
চক্রটি বছরে ১০ কোটি ৮০ লাখ রিঙ্গিত পর্যন্ত বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। আসামিদের ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তদন্ত করার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাদের সেমুনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post