করোনা মহামারির সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে গেছেন এবং এখনো যাচ্ছেন। পবিত্র রমজান মাস আসার পর ওমরাহকারীর সংখ্যা আরও বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মেহমানরা যেন নির্বিঘ্নে উমরাহ পালন করতে পারেন এজন্য বেশ কয়েকটি নীতি ও পন্থা অবলম্বন করে সৌদি সরকার।
নির্দিষ্ট কর্মী
পবিত্র কাবা শরীফের কাছে এবং আশপাশে মোতায়েন করা থাকে নির্দিষ্ট কর্মী। তারা ওমরাহকারীদের ওমরাহ পালনে সহায়তা করে থাকেন।
যখন কাবা তাওয়াফ করা হয়, তখন সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেকে নাও চলতে পারেন। ওই ব্যক্তিরা যেন পদদলনের শিকার না হন এবং সুন্দরভাবে তাওয়াফ করতে পারেন সেই সহায়তা করে এসব কর্মীরা। তারা এক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। রমজান মাসের চাপ সামলানোর জন্য তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার
ওমরাহ পালনকারীদের সহায়তা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে সৌদি আরব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করছে। কাবার কাছে এবং আশপাশে যেসব কর্মী মোতায়েন আছেন তারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন।
আল বাসামি নামের এক কর্মকর্তা এ প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কাবার আশপাশের ভীড় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মানুষের ঢোকা এবং বের হওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এরমাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ মানুষ সেখানে থাকছেন, ধারণ ক্ষমতমার চেয়ে বেশি মানুষ সেখানে থাকতে পারছেন না।
শিশুদের সুরক্ষা প্রদান
পবিত্র রমজান মাসে অভিভাবকের সঙ্গে মক্কা ও কাবা শরীফে আসে অনেক শিশু। এসব শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতে একটি উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব।
সুরক্ষার অংশ হিসেবে বাবা-মায়ের সঙ্গে আসা এসব শিশুর প্রত্যেকের হাতে একটি করে ব্রেসলেট বেঁধে দেওয়া হয়। ওই ব্রেসলেটে শিশুর নাম, তথ্য এবং তাদের অভিভাবকের তথ্য দেওয়া থাকে। এরমাধ্যমে যদি কোনো শিশু হারিয়ে যায় তাহলে সহজেই অভিভাবক খুঁজে বের করে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post