সাদা শুভ্র বক্সটি হল সুগন্ধির জন্য। এখানে উদ সহ নানান আতর কাবা গৃহে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
কাবা গৃহের ভিতরে রাসূল (সা:) এর সালাতের জায়গা। মক্কা বিজয়ের পরে এখানে তিনি সালাত আদায় করেছিলেন।
কা’বা বাইতুল্লাহ আল্লাহর ঘর। আমরা কা’বার ইবাদত করি না। কা’বার রবের ইবাদত করি। এটা ঘর কিন্তু সাধারণ ঘর নয়। এটাই আপনার ঈমান।
দরজা থেকে কা’বার ছাদে যাওয়ার জন্য পথ রয়েছে।
এই অংশটা একদম কাবার ভিতরে।
দ্বিতীয় দরজা দিয়ে, ভিতরের দিক দিয়ে সরাসরি কা’বার ছাদে। যেটি সাধারণত ব্যবহার হয় না। এখন যেকোনো প্রয়োজনে ছাদে পৌছাতে, বাহির থেকেই ইলেকট্রিক সিড়ি ব্যবহার হয়ে থাকে।
আপনি কি জানেন? এই সম্পূর্ণটা কিন্তু হাজরে আসওয়াদ পাথর নয়। বরং এই কাঠামোর ভিতরে সাদা রেখা দ্বারা চিহ্নিত করে দিয়েছি, এরকম ছোট ছোট আটটি পাথরই হল, মূল হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর। যেটি জান্নাতের পাথর।
এখানে কাবার দুইটি ছাদের স্হান চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে। ছবিটি বেশ পুরোনো তাই দেওয়ালের কালারটি একটু ভিন্ন দেখাচ্ছে। মূলত কাবার দেওয়াল এরকমই কালো রঙের। এর উপরে গিলাফ দিয়ে আবৃত করে চমৎকার দৃশ্যপট ধারণ করে।
কাবার দুই ছাদের মাঝ বরাবর একজন।কাবার ছাদ দুইটি। অর্থাৎ ছবিতে যেভাবে দেখতে পাচ্ছেন এভাবেই এক মিটারের ব্যবধানে দুই ছাদ। যেটা ইমারাতকে আরো মজবুত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
কাবার ভিতরে ঢুকতে নিজস্ব কোনো সিড়ি নেই।
এটা হচ্ছে মেইন দরজা। কাবার ভিতরে কোনো ইলেকট্রিসিটি নেই। বাহির থেকে সিড়ির সাথে লাইটিং করা হয়েছে। কোনো জানালাও নেই।
উপরে ঝুলানো শামাদানগুলো (কাচ বা অন্যান্য উপাদানের বাতি, ডেকোরেশন) ইতিহাসের বিভিন্ন সুলতানদের উপহার। এবং কাবাগৃহটি তিনটি পিলারের উপর দাড়িয়ে আছে। এ গৃহের যে দিকে ইচ্ছে ঘুরে সালাত আদায় করতে পারবেন।
কা’বাঘরের দরজা কিন্তু দুইটি। এটা দ্বিতীয় দরজা। এটার মাধ্যমে কাবাগৃহের ছাদে উঠা যায়। নিচের দিকের ছবিগুলো দেখুন। পাথরে খোদাই করা শিলালিপিতে আল্লাহ ও রাসূল (সা:) এর প্রশংসা। এবং বাদশা খালেদ ইবনে আব্দুল আজিজ (রহ:) এর ১৩৯৭ হিজরীতে কাবা গৃহ সংস্কারের বর্ণনা।
এই জায়গাটিকে বলা হয়, মুলতাযাম। এটি “মুসতাজাবুদ দোয়া” অর্থাৎ দোয়া কবুলের স্হান। দরজা এবং হাজরে আসওয়াদ পাথরের মাঝখানে। ভিতরের পাশ থেকে একজন মোনাজাতকারী। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এই স্থানে দোয়া করেছিলেন। এবং তিনি বলেন: “এই স্থানে যে আল্লাহর নিকট দোয়া/প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তার দোয়ার উত্তর দিবেন অর্থাৎ কবুল করবেন।
জায়নামাজের এই জায়গাটিতে রাসূলে আরাবী (সা:) মক্কা বিজয়ের পরে সালাত আদায় করেছেন। দেওয়ালে “খত্তুল কুফি” তথা কুফি ক্যালিওগ্রাফীতে কালেমার শিলালিপি।
আরও দেখুন:
VIDEO
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post