কভিডের পর এক নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে মারবার্গ ভাইরাস। আর তাই এ ভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজ দেশকে নিরাপদ রাখতে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ওমান। অত্যন্ত সংক্রমক এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস করোনার থেকেও অনেক ভয়ানক। এতে আক্রান্ত হলে মৃত্যুহার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। ইতিমধ্যেই দুটি দেশে ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করছে ওমান সরকার। এ নিয়ে প্রথমবারের মত বিবৃতি জারী করেছে ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পহেলা এপ্রিল জারীকৃত বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বের দুটি দেশ তানজিনিয়া এবং গিনিতে মারবার্গ ভাইরাস ডিজিজের (এমভিডি) প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাই এই দুটি দেশে ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করছে ওমান সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা দুটি দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। অতি প্রয়োজনীয় না হলে ওই দুই দেশে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৬৭ সালে। জার্মানির মারবার্গ, ফ্রাঙ্কফুর্টে এবং সার্বিয়ার বেলগ্রেডে একসঙ্গে ছড়িয়েছিল ওই ভাইরাস। প্রথমে ৩১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় এবং সাতজনের মৃত্যু হয়। উগান্ডা থেকে আমদানি করা আফ্রিকান এক বানর প্রজাতি ভাইরাসটির জীবাণু বহন করছিল। তবে ভাইরাসটি তখন থেকে অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। শূকর ও বাদুড়ও ভাইরাসটি বহন করে। যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে গুহা এবং খনিতে কাজ করেছে যেখানে প্রচুর পরিমাণে বাদুড় থাকে, সেসব মানুষের মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা এবং পেশী ব্যথা। মারবার্গ ভাইরাসটি মারাত্মক ইবোলা ভাইরাস গোত্রের অন্তর্গত। আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভি বলছে, আফ্রিকার নাগরিকদের বন্যপ্রাণীর মাংস পরিহার করা উচিত। একইসাথে এ ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের অঞ্চলগুলোতে শূকরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং আক্রান্ত অঞ্চলে যৌন সম্পর্কে অধিক সাবধানতা অবলম্বনে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post