নকল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থানে গেল ওমান। ইতিমধ্যেই মাস্কাট সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং মানুষের খাবার অনুপযুক্ত খাবার বিক্রি করলে ১ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। সেইসাথে ৩ দিনের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। একইসাথে মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল ধ্বংস করা হবে।
এদিকে, পবিত্র রমজান মাসে ওমানের সালালার এক এতিমাখানায় মেয়াদোত্তীর্ণ নুডূলস সরবরাহের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই উক্ত কোম্পানির কাছ থেকে ৬ হাজার মেয়াদোত্তীর্ণ নুডূলস জব্দ করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (সিপিএ)। ২৯ মার্চ এক প্রতিবেদনে সিপিএ জানায়, কোম্পানিটি প্যাকেটগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নিয়ে কারচুপি করেছিল এবং নতুন উৎপাদনের তারিখ পুনরায় লাগিয়েছিল। রমজান মাসে ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে এগুলো সালালাহর একটি এতিমখানায় সরবরাহ করেছিলো কোম্পানি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নুডলস গুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় নতুন মেয়াদ বসানো হয়। যা ভোক্তা আইন লঙ্ঘন। পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারের প্যাকেটের গায়ে নতুন মেয়াদ লাগিয়ে ৬ হাজার প্যাকেট সরবরাহ করেছিল কোম্পানিটি। এগুলো জব্দ করে ধ্বংস করেছে সিপিএ। জব্দের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং একটি মামলা পাবলিক প্রসিকিউশনে পাঠানো হয়েছে। ওমানে যেকোনো পণ্য কেনার পূর্বে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ যাচাই করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করছেন এমন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post