৮০ হাজার টাকায় ওমানে বিক্রি, ট্রাভেল এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভনে পড়ে ওমানে গিয়েই বিপদে পড়েন পাঞ্জাবের এক মহিলা। ওমান থেকে ফিরেই অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
ওই নারী জানান, ট্রাভেল এজেন্ট তাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৮০ হাজার টাকায় ওমানে বিক্রি করে দেয়। তিনি আরও বলেন, জলন্ধর, অমৃতসর সহ পাঞ্জাবের বহু মহিলা ট্রাভেল এজেন্টদের ফাঁদে পড়ে উপসাগরীয় দেশের বিভিন্ন শহরে নরক ভোগ করছেন। মঙ্গলবার ভারতে ফিরে তিনি রাজ্যসভার সদস্য সন্ত বলবীর সিং সিচেওয়ালকে ধন্যবাদ জানান।
একচল্লিশ বছর বয়সী স্বরঞ্জিত কৌর বলেছেন যে তার এজেন্ট তাকে ওমানে ৮০ হাজার টাকায় করেছে। তিনি বলেন, তার মতো বেশ কিছু অসহায় নারী এখনও ওমানে আটকে আছেন। মোগার বাসিন্দা কৌরের স্বামী কুলদীপ সিং বলেছেন, ট্র্যাভেল এজেন্ট তার স্ত্রীকে দুবাইতে একটি ঘরোয়া কাজের প্রস্তাব দেওয়ার অজুহাতে মাস্কাটে নিয়ে গিয়েছিল।
ওই নারী বলেন, “এজেন্ট আমাকে গৃহস্থালি কাজের কথা বলে ওমানে নিয়ে যায় এবং সেখানে আমাকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। আমাকে বাধ্য করা হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আমি পাঞ্জাবে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ট্রাভেল এজেন্ট আমার ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যসভার সদস্য সন্ত বলবীর সিং সিচেওয়াল বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রককে (এমইএ) জানিয়েছিলেন, যিনি আমার ফিরে আসার ব্যবস্থা করেছিলেন। মাস্কাটে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের অ-পেশাদার আচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বিদেশ মন্ত্রককে একটি চিঠি লেখেন। সিচেওয়াল বলেছেন যে তিনি যখন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন, তিনি স্বরণজিৎ কৌরকে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন।
সিচেওয়াল আরও বলেন, পাঞ্জাবের দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের ভালো কাজের নামে আরবে পাঠিয়ে প্রতারণা করা হয়। তিনি পাঞ্জাব সরকারের কাছে এই ধরনের ট্রাভেল এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post