মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীদের প্রতি ‘নরম মনোভাব দেখানোর অপরাধে’ সৌদি আরবে ১০ জন বিচারপতিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ খবর প্রকাশ করেছে ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডএডব্লিউন)।
১০ জনের মধ্যে ছয় জন রিয়াদের স্পেশালাইজড ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারপতি। বাকি চারজন হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি। ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল তাদের গ্রেপ্তার করে সৌদি স্টেট সিকিউরিটি এজেন্সি। তারপর থেকে জেলেই বন্দি আছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের কোনো রকম আইনি সহায়তাও দেয়া হচ্ছে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এমনকি পরিবার এবং বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেয়া হচ্ছে না।
সাজাপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে একজন হলেন আল লুহাইদান। তিনি ২০২০ সালে বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী লুজাইন-আল-হাথলাউলকে তার এজলাসে পেশ করার দুই মাসের মধ্যেই মুক্তি দিয়েছিলেন। লুজাইনের আগের ছয় বছরের কারাদণ্ডের মামলা লুহাইদানের এজলাসে ওঠার পর তিনি লুজাইনের শাস্তি কমিয়ে মাত্র দুই বছর ১০ মাস করেন।
সেই সাজার বেশিরভাগই আগে অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পান ওই নারী অধিকার রক্ষা কর্মী। বাকি বিচারপতিদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সরিয়ে দিয়ে ইতোমধ্যেই সেই জায়গায় অন্য বিচারপতিদের নিয়োগ দিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স।
নবনিযুক্ত বিচারপতিরা রাষ্ট্রের প্রতি অত্যন্ত অনুগত। তারা ইতোমধ্যেই দেশদ্রোহিতা এবং অন্যান্য অভিযোগে বিচারাধীন মানবাধিকার এবং নারী অধিকার কর্মীদের সাজা বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, শুধু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের সাজা আট বছর এবং ১৩ বছর থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩৪ এবং ৪৫ বছর করে দেয়া হয়েছে।
অনেকে মনে করছেন বিচারপতিদের এভাবে শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করানোর মাধ্যমে সৌদি সরকার বার্তা দিতে চাইছে যে, ন্যূনতম রাষ্ট্রদ্রোহিতাও কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। সন্ত্রাস এবং অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সমাজকর্মীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা না দিলে একই শাস্তির মুখে পড়তে হবে অন্য বিচারপতিদেরও।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post