আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা – ইন্টারপোল আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করেছে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরে পড়েছেন আলোচিত এ স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পাশাপাশি ‘উধাও’ হয়ে গেছে তার দোকানের স্বর্ণালঙ্কারও।
রোববার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত আরাভ খানকে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকতে দেখা গেলেও সোমবার (২০ মার্চ) একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া তাকে আর চোখে পড়েনি।
এদিকে আরাভ খানের আলোচিত জুয়েলার্সের দোকানেও কোনো স্বর্ণালঙ্কারের দেখা মেলেনি। কেবল বাজপাখির আদলে তৈরি স্বর্ণের লোগোটি এখন শোভা পাচ্ছে দোকানটিতে। ক্রেতারা তার দোকানে গিয়ে স্বর্ণ না পেয়ে ফিরে আসছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আরাভের দোকান যেসব স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়েছিল সেসব ছিল আরেক ব্যবসায়ীর থেকে ধার নেয়া। এসব জুয়েলারির জন্য আরাভ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা জামানত রেখেছিলেন। কিন্তু আরাভ খানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর ওই ব্যবসায়ী জামানতের টাকা ফেরত দিয়ে স্বর্ণালঙ্কারগুলো ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
অন্যদিকে আরাভ জুয়েলারি উদ্বোধনের পর সাকিব আল হাসানসহ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বেশ কয়েকজন তারকা দেশে ফিরে এলেও রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজ এখনো আরাভ খানের বাসায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তা ফরহাদ হত্যা মামলার অপর এক আসামি আরাভের বাসায় অবস্থান করলেও ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার পর তিনি ভারতে চলে গেছেন বলে আরও একটি সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় স্বর্ণের বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আরাভ কয়েকদিনের মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রেড অ্যালার্ট জারির পর সে আদৌ দুবাই ছাড়তে পারবে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রবাসীরা।
তারা জানান, আরাভ খান তার ফেসবুক পেইজে যেসব সম্পদের কথা উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন, সেসব তার কি-না – এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কেননা এরই মধ্যে আরাভ খানের বেশকিছু বিষয়ে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
সূত্র: সময় নিউজ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post