বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি রবিউল ওরফে আপন ওরফে আরাভ খাঁন যাদেরকে বিয়ে করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসা বিদ্যায় পড়াশোনা করতে ঢাকায় এসেছিলেন।
সেই তরুণীর বাবা ছিলেন মেহেরপুরের স্বল্প আয়ের একজন কৃষিজীবী। তিনি জানিয়েছেন, ‘আরাভের’ সঙ্গে জড়িয়ে তার মেয়ের ‘অপরাধের জগতে’ জড়িয়ে পড়ার কথা।
পড়াশোনা শেষ হয়নি, উল্টো আরাভের সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন সেই তরুণী। জামিন পেয়ে গোপনে তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে তার বাবার কাছ থেকে এ সকল তথ্য পাওয়া যায়।
সম্প্রতি আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি গয়নার দোকান উদ্বোধন হয়েছে আরাভের। সেটি উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে উড়ে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী ফারদিন দীঘি, ইউটিউবার হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের আরও কয়েকজন। আর সেই আয়োজন ঘিরে দেশে শুরু হয় তোলপাড়।
ওই অনুষ্ঠানের আগে আগে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, এই আরাভ আর কেউ নন, ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম, যিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই গেছেন।
আরও প্রকাশ পায়, এই আরাভ বা রবিউলের নাম একটি দুটি নয়, তিনি একেক সময় একেক নামে পরিচিতি পেয়েছেন। তার বাবা ছিলেন নিম্ন আয়ের একজন মানুষ, যিনি ঢাকায় এসে হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেছেন। সেই আরাভই এখন শত শত কোটি টাকার মালিক, যার অর্থের উৎস নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।
গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানাতে আরাভ বা রবিউলের বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেছে ৯টি। তবে মামলার সংখ্যা আরও বেশি।
তার গ্রামের এক জনপ্রতিনিধি জানান, আরাভ বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন। ছয়টির মত বিয়ের বিচার-সালিশে স্থানীয় জনিপ্রতিনিধিরা অংশও নিয়েছেন। গ্রামে, প্রচার তার বিয়ের সংখ্যা অন্তত ২০টি।
আরাভ যাদের বিয়ে করেছিলেন, তাদের একজন সুরাইয়া আক্তার কেয়া। তার বাবা আবুল কালামের সঙ্গে কথা হয়েছে । তিনি মেহেরপুরে কৃষিকাজ করে জীবন চালান।
আরাভকে কালাম চেনেন ‘আপন’ নামে। জানান, জামাতার মত তার মেয়েও পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন। হত্যা মামলায় তার মেয়ে সাড়ে তিন বছরের মত কারাগারেও ছিলেন।
নিজেকে ‘ভাগ্যবিড়ম্বিত’ দাবি করে কালাম বলেন, “ওই সময় জমি-জমা নিয়ে একটা মামলায় আমি জেলে গেলাম। আমার মেয়েটারে নিয়া তার মায়ে ঢাকা শহরে আইসে উঠল। থাকত সাভারের ইপিজেড এলাকায়। প্রথম প্রথম তারা আমারে জেলে দেখতে আসত। পরে সম্পর্কই নাই হয়া গেল।
“আমার মেয়েটারে পড়তে দিছিলাম। জেলে বইসা আমি শুনলাম সে কোন এক বড়লোকের ছাওয়ালের সঙ্গে বিয়ে বইছে।…তহনই আমার সংসারটা একেবারে ভাইসে গেল।”
কালামের দাবি, আপন নিজেকে ‘বড়লোকের ছেলে’ দাবি করে তার ‘মেডিকেল পড়ুয়া’ মেয়েকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর আপনের আরও স্ত্রীর খবরও জানা যায়।
সব মিলিয়ে কালাম কারাগারে কাটান সাড়ে ১২ বছর। সে সময় তাকে তালাক দিয়ে তার স্ত্রী বিয়ে করেন অন্য একজনকে।
তিনি যখন কারাগারে, সে সময় কেয়াও কারাগারে ছিলেন। বের হয়ে জানতে পারেন, তার মেয়ে আরেক প্রবাসীকে বিয়ে করে এখন মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। এখন মেয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় কেয়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচার ফয়সল আতিক বিন কাদেরের কাছে ২০২১ সালের ২ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। তাদের লক্ষ্য ছিল রহমত উল্লাহকে আটকে ‘অশালীন’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। সেজন্য তারা জন্মদিনের নাটক সাজিয়ে রহমতকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল বনানীর এক বাসায়।
বন্ধু রহমতের ডাকে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বনানীর ওই বাসায় গিয়ে খুন হন এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। ঢাকার নবাবগঞ্জের রাজরামপুরের মৃত আজহার আলী খানের ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট মামুন লেখাপড়া করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর তিনি শান্তিরক্ষা মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। খুন হওয়ার সময় তার কর্মস্থল ছিল শান্তিনগরে পুলিশের বিশেষ শাখার ট্রেনিং স্কুল।
অবিবাহিত মামুন বড় ভাই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে থাকতেন তার সবুজবাগের বাসায়। কৈশোর থেকেই অভিনয়ের ঝোঁক ছিল মামুনের। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয়ও করেছেন তিনি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, টেলিভিশনে একটি ক্রাইম ফিকশনে অভিনয়ের সূত্র ধরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার রহমত উল্লাহর সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয় পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের। নাটকের সূত্রেই তাদের সঙ্গে এক কিশোরীর পরিচয় হয়, যে রবিউলের চক্রের একজন সদস্য।
রবিউলের স্ত্রী কেয়াকে ওই কিশোরী জানায়, রহমত উল্লাহকে ফাঁদে ফেলে মোটা টাকা আদায় করা সম্ভব। সে অনুযায়ী তৈরি হয় জন্মদিনের নাটকের ছক। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় বনানীর এক বাসায় ওই কিশোরীর ‘জন্মদিনের অনুষ্ঠানে’ দাওয়াত দেওয়া হয় রহমত উল্লাহকে।
দাওয়াত পেয়ে রহমত উল্লাহ তার বন্ধু মামুনকেও সঙ্গী হতে অনুরোধ জানায়। তারা ওই বাড়িতে পৌঁছালে ওই কিশোরী দুজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে আসে। তাদের একজনকে বোন, অন্যজনকে ভাবি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে রহমত ও মামুনকে বাসার ভেতরে নিয়ে যায়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, “বাসায় গিয়ে তারা (রহমত উল্লাহ ও মামুন) দেখেন, জন্মদিনের কোনো আয়োজন নেই। রহমত উল্লাহ তখন ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমাদের নাকি বার্থডে পার্টি, কিন্তু কিছু তো দেখছি না।’ রবিউলের স্ত্রী কেয়া তখন বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের পার্টি এরকমই হয়। একটু পরই দেখতে পাবেন’।”
কেয়া ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্বপন, দিদার, আতিক ও মিজান ঘরে ঢোকেন। শুরু হয় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
“তারা মামুন ও রহমতের উদ্দেশে বলে, ‘বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে তোরা এখানে এসেছিস।’ মামুন প্রতিবাদ করলে সঙ্গে সঙ্গে ওই চারজন তাকে মারতে শুরু করে। আসামিদের একজন বলে, ‘ওদের হাত-পা বেঁধে ফেল। মেয়েদের সঙ্গে ছবি তুলে টাকা আদায় করা হবে।’ স্বপন, আতিক ও দিদার তখন মামুনকে চেপে ধরে এবং তার হাত-পা বেঁধে ফেলে।
“আসামি মিজান মুখ চেপে ধরলে মামুন তার হাতে কামড় দেন। তখন মিজান ও দিদার পেছন থেকে মামুনের ঘাড়ে আঘাত করেন এবং আতিক জোরে লাথি মারলে মামুন সংজ্ঞা হারান। রহমত উল্লাহকেও তখন বেঁধে ফেলে রাখা হয়।”
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাত ১২টার দিকে স্বপন বুঝতে পারেন, মামুনের হাত-পা শক্ত হয়ে গেছে। রবিউলকে তিনি ফেনে বিষয়টি জানান। এরপর রবিউলের পরামর্শে স্বপন, আতিক ও দিদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনের পায়ের আঙুল কেটে দেখেন। রক্ত বের না হওয়ায় তারা নিশ্চিত হন যে পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বপন আর দিদার তখন রবিউলকে ফোন করে বড় একটি ট্রলি বা বস্তা নিয়ে আসতে বলেন। সকাল ৭টার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক লিফট দিয়ে মামুনের লাশ নিচে নামিয়ে রহমত উল্লাহর প্রাইভেট কারে তোলেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, কালীগঞ্জের উলুখোলায় বাঁশঝাড় দেখে স্বপন সেখানে গাড়ি থামাতে বলেন। গাড়ি থেকে লাশ নামিয়ে বাঁশঝাড়ের মধ্যে নিয়ে আতিক ও স্বপন পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর রহমত উল্লাহ গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন।
তিন দিন পর রায়েরদিয়া সড়কের পাশের ওই জঙলা এলাকায় বস্তাবন্দি পোড়া লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে, পরনের প্যান্ট ও কোমরের বেল্ট দেখে পরিবারের সদস্যরা মামুনের পরিচয় শনাক্ত করেন।
তদন্তে নেমে প্রথমেই রহমত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার করা হয় সুরাইয়া আক্তার কেয়া, মিজান শেখ ও দুই কিশোরীকে। পরে তাদের মধ্যে তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেতে হত্যা রহস্য স্পষ্ট হয়।
রহমত উল্লাহই তার গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান। দিদার, আতিক, স্বপন ও মিজানও ছিলেন ওই গাড়িতে। দলের নেতা রবিউল মোটরসাইলে যান সামনে সামনে।
কেয়া বিদেশে রয়েছেন বলে যে তথ্য তার বাবা দিচ্ছেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, “কেয়া দেশে আছে না বাইরে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ রাখছি।”
আরাভের ‘অপরাধ’ নিয়ে যা বলছে পুলিশ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি বলছে, আপন পরিচয়ে ঢাকায় ‘প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের’ একটি ‘দল’ চালাতেন আরাভ। তিনি অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে কৌশলে সম্পদশালীদের এনে মেয়েদের সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত মুহূর্তের’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। বনানীর যে বাসায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খুন হন, সেটিও এ রকম একটি বাসা ছিল। অভিনয় বা মডেলিং করেন, এ রকম তরুণীদের নানা কাজে ব্যবহার করতেন আরাভ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলছেন, আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে আপনের বিরুদ্ধে তারা ১২ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এর আগে অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে। আরাভ ওরফে আপনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়।
দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন সাকিব আল হাসানকোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, “সোহাগ মোল্লা ওরফে রবিউলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে নয়টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কোটালীপাড়া থানায় এসেছে। তবে তার বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় কোনো মামলা নেই।”
কোটালীপাড়ার হিরণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজহারুল আলম পান্নার বাড়ি আর রবিউল ওরফে আরাভ খানের বাড়ি একই গ্রামে। মাজহারুল আলম বলছেন, “রবিউল ওরফে সোহাগের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করেছে তার স্ত্রীরা।”
মাজহারুলের হিসেবে, রবিউল ২০টির মতো বিয়ে করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয়ে তাদের বিয়ে করেন তিনি। পরে তার স্ত্রীরা মামলা করেছেন, এ নিয়ে এলাকায় বিচার সালিশও হয়েছে একাধিকবার।
পুলিশ বলছে, মামুন ইমরান হত্যায় নাম আসার পর যখন তাকে শনাক্ত করা হয়, সে সময় উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার তদবিরে পার পেয়ে যান তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, “পরবর্তীতে সে নকল একজনকে আপন সাজিয়ে জেলখানায় পাঠায়। যখন ডিবির তদন্তে প্রমাণ হয়, এই আপন প্রকৃত ব্যক্তি নন, ততদিনে সে (আরাভ) ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল।”
পরিদর্শক মামুন ইমরান হত্যার অভিযোগপত্রে আরাভের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাতে হত্যার পর ভোরে লাশ গুমের জন্য আপন দুটি বস্তা ও একটি সাদা টাইপের কাপড় নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
সেই বস্তায় ভরেই লাশ ফ্ল্যাটের ওপর থেকে গাড়ির ব্যাকডালায় রাখা হয়। এরপর সেই গাড়ি চালিয়ে গাজীপুরের কালীগেঞ্জের উলুখোলা এলাকার একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে লাশটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post