টিকিটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে মধ্যপ্রাচ্যগামী টিকিটের মূল্য দেদারসে বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন বিদেশগামী কর্মীরা। এতে অভিবাসন ব্যয়ও বাড়ছে। টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রেমিট্যান্স প্রবাহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন। চড়া দামে টিকিট কিনতে না পেরে বিদেশগামী অসহায় অনেক কর্মী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি এয়ারলাইন্সগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে ওমরা যেতেও লাখ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে।
জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলো ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকার ওয়ানওয়ের টিকিট এখন সিন্ডিকেট করে ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। বিমানের টিকিটও কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠছে। সউদী, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অভিবাসী কর্মী গমনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলো বিমান ভাড়া ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছে।
৭৫ হাজার টাকার ওমরাযাত্রীদের টিকিট এখন লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা থেকে দু’লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ওমরাহ টিকিট। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যে এসব দেখার কেউ নেই। বিদেশগামী কর্মীদের বিমান টিকিট নিয়ে চলছে হাহাকার। এয়ারলাইন্সগুলো একজোট হয়ে টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়াচ্ছে। এতে টিকিটের টাকার জোগাতে অনেকেই চড়া সুদে ঋণ এবং ভিটেমাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। এই প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে বলেছেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতো দিন আমাদের দিয়েছেন। এখন তাদের দেয়ার সময় আমাদের।’ আর তাই প্রবাসীদের বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিভিন্ন মহল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post