নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মহিন উদ্দিন নামের এক প্রবাসীকে চোখ বেঁধে নির্যাতন ও টাকা দাবির অভিযোগে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক শরীফুল ইসলাম ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেনকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা (ক্লোজড) হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুবাইফেরত প্রবাসীর অভিযোগের পরই সোমবার (১৩ মার্চ) অভিযুক্ত দুজনকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বিজয়া সেনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রবাসীর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে আসার পথে এক প্রবাসী কিছু সোনা, একটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ তাকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। ঢাকায় যাকে এগুলো দেওয়া হবে তাকে ওই প্রবাসীর ছবি তুলে পাঠানো হয়। কথামতো বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তি সেই ছবি দেখিয়ে জিনিসগুলো নিয়ে যান এবং প্রতিশ্রুতি মতো তাকে ১০ হাজার টাকা দেন। এর কিছুদিন পর দুবাই থাকা ওই প্রবাসী তার মালামাল বুঝে পাননি বলে মৌখিক অভিযোগ করেন।
গত ৩ মার্চ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক শরীফুল ইসলাম প্রবাসী মহিন উদ্দিনের বাড়িতে এসে কোনো লিখিত অভিযোগ বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে তাকে ধরে নিয়ে যান। পরে ডিবি কার্যালয়ে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এসময় আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ডিবি পুলিশকে ছয় লাখ টাকা দিতে বলা হয়। অন্যথায় তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। পরে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বের হয়ে আসেন ওই প্রবাসী। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুলিশ সুপারের লিখিত আদেশ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দুজনকে অনলাইনের মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post