মৎস্যকন্যা। এই নাম মাথায় এলেই মনে পড়ে যায় হলিউডের অ্যানিমেশন ছবি ‘দ্য লিটল মারমেড’-এর কথা। সেই ছবির মৎস্যকন্যাদের রূপ অনেক সৌম্য। মৎসকন্যাদের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক জল্পনা থাকলেও তাদের বাস্তব অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ কখনো পাওয়া যায়নি।
মৎস্যকন্যাদের কথা কম বেশি অনেক শুনা গেলেও এবার তাদের দেখা মিলেছে এক শহরে, আর সেখানে তাদের দেখতে সাধারণ মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। কোমর থেকে পা পর্যন্ত রঙিন আঁশের মতো আবরণ। লাল-নীল-গোলাপি চুলের রঙ। ঠিকরে বেরোচ্ছে রূপ। আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় দেখা মিলেছে এই মৎস্যকন্যাদের!
লোককথা বা পুরাণ থেকে শুরু করে সিনেমা, বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যকন্যাদের বিবরণ ছড়িয়ে রয়েছে। কল্পিত এই প্রাণীর শরীরের উপরিভাগ নারীর মতো হলেও শরীরের নিচের অংশ মাছের মতো। কিন্তু ভার্জিনিয়ায় যে মৎস্যকন্যাদের দেখা মিলল, তাদের রূপসী বই অন্য কিছু বলা যাবে না।
ভার্জিনিয়ার এই মৎস্যকন্যারা কিন্তু আদপেও সত্যিকারের নন। পুরোটাই সাজানো। পুরোটাই বিশেষ এক অনুষ্ঠান (বলা ভালো, উৎসব)-কে কেন্দ্র করে আমোদের অংশ। ভার্জিনিয়ায় হওয়া এই অনুষ্ঠানের নাম ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’। ৩ থেকে ৫ মার্চ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মৎস্যকন্যার রূপে সেজেছিলেন শতাধিক নারী।
পূর্ব আমেরিকার ভার্জিনিয়ার মানসাসের একটি কৃত্রিম জলাশয়ে ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। শুধু ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যকন্যাদের থিম হিসাবে রেখে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে তাদের মধ্যে মানসাসের এই অনুষ্ঠানই সবচেয়ে বড়।
আমেরিকার ফ্লোরিডার ছোট্ট শহর উইকি ওয়াচির ওয়াটার পার্কেও আগে এ রকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হত। উইকি ওয়াচিতে বসন্তকালে হওয়া মৎস্যকন্যাদের অনুষ্ঠান দেখতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ওয়াটার পার্কে ছিল বিশালাকার অ্যাকোয়ারিয়াম। সেখানেই চলত মৎস্যকন্যাদের অনুষ্ঠান। রোজ টিকিট কেটে সেই অনুষ্ঠান দেখতেন পর্যটকরা। ঐ ওয়াটার পার্কে প্রথম অনুষ্ঠান হয় ১৯৪৭-এর ১৩ অক্টোবর। তারপর থেকেই সেখানে চলে আসছে ওই অনুষ্ঠান। বাচ্চা থেকে বুড়ো, মৎস্যকন্যাদের শো দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। যদিও ২০২০ সালে সেই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post