মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উম্মাতে মুহাম্মদির জন্য এমন কিছু বরকতময় বিশেষ মাস, দিন ও রাত দান করেছেন, যেগুলোর গুরুত্ব, মাহাত্ম্য ও ফজিলত অপরিসীম। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, শয়তানের কুমন্ত্রণায় বা নফসের তাড়নায় মানুষ বিপৎগামী হয় বা পাপাচারে লিপ্ত হয়। মানুষের পাপমোচনের জন্য আল্লাহ তা’আলা তওবা ও ইস্তিগফারের ব্যবস্থা রেখেছেন। বিশেষ কিছু দিবস ও রজনী দিয়েছেন, এর মধ্যে অন্যতম ও বিখ্যাত হলো শবেবরাত।
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ‘শবেবরাত’। সেই হিসেবে আগামীকাল ৭ মার্চ ওমানে এবং বাংলাদেশি পালিত হবে পবিত্র ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা শবে বরাত। এ রাতটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ তাৎপর্যময় এক রজনী। এ রাতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা তার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন।
মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি ও পাপ-তাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশে শবেবরাতকে ‘ভাগ্যরজনী’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
মুসলমানরা শবেবরাতে নফল নামাজ, জিকির-আজকার, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিনিদ্র রাত কাটায় ও আল্লাহতায়ালার কাছে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য। একই সঙ্গে মৃত আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকেই ওয়াজ-নসিহত, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনেকে গভীর রাত অবধি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থেকে শেষ রাতে সাহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। এই রাত উপলক্ষে লাইটিং করা, হালুয়া রুটি খাওয়া, আতশবাজি ফুটানো, দলে দলে আনন্দের সঙ্গে উদযাপন না করতে বলেছেন আলেম সমাজ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post