একটু সচ্ছলতার আশায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ওমান যান চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের মো. নুরনবী (৪০)। পরের বুধবার অর্থাৎ ১ মার্চ সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোঁকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। নুরনবী মীরসরাই উপজেলার ১৪নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মধ্যম কুরুয়া হাজি মনিরুজ্জামান বাড়ির মরহুম আমির হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, পরিবারের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওমানে পাড়ি জমান। সেখানে যাওয়ার পর সকল কাগজপত্র রেডি হতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। ১ মার্চ তিনি প্রথম দিন কাজে যাওয়ার জন্য রওয়ানাও দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় মাঝ পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
একই এলাকার বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মো. বাবুল বলেন, আমরা একই রুমে থাকতাম। বুধবার প্রথম দিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ এখনও ওই হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দেশে ফেরত আনতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
১৪নং হাইতকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, নুরনবীর মৃত্যুর খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে। পরিবারের ভাগ্য ফেরাতে মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রবাসে পাড়ি জমান তিনি। তার মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়লো।
অপরদিকে পহেলা মার্চ ওমানের জালান বাণী বু হাসান নামক স্থানে আরেক বাংলাদেশি প্রবাসী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যু প্রবাসীর নাম সুনিল কুমার দাশ। তার গ্রামের বাড়িও চট্টগ্রামের মীরসরাইতে। ওমান থেকে ইকবাল মাহমুদ নামে এক প্রবাসী আমাদের জানান, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। বর্তমানে তার মরদেহ হাঁসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি ওমানে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত ছিলেন বলেও জানান ইকবাল মাহমুদ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post