সৌদি আরবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইসরায়েলসহ সব যাত্রীবাহী বিমানের জন্য নিজেদের আকাশ পথ উন্মুক্ত করে দেয় ওমান। যদিও এই খবরটি এখন পর্যন্ত ওমানের কোনো জাতীয় গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা, রয়টার্স এবং ইসরাইলি জাতীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ করেছে। প্রবাস টাইমেও এই খবর প্রকাশের পর ওমানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
তবে, ইসরায়েলের জন্য নিজেদের আকাশ সীমা উন্মুক্ত করলেও সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওমান। সেইসাথে দেশটির সাথে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক করার ব্যাপারেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত সব ক্যারিয়ারের জন্য ওমানের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। যার ফলে ইসরায়েলের বিমানগুলো ওমানের আকাশ পথ ব্যবহার করে এশিয়ার দেশগুলোতে যেতে পারবে। আর এটিকে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে ওমানের সুলতানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন খোদ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে রাষ্ট্র বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল এবং ওমানের মধ্যে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ইসরায়েলের সাথে তার সম্পর্কের প্রচারে কম অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালে প্রয়াত সুলতান কাবুস মাস্কাটে নেতানিয়াহুকে অভ্যর্থনা জানান। আবার ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনকে অভিনন্দন জানানো প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ওমান অন্যতম। সর্বোপরি ইসরাইল ইস্যুতে ওমানের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে বিশ্ব রাজনীতি অঙ্গনে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post