বাসে, ট্রেনে কিংবা লঞ্চে ভ্রমনের সময় অনেকেরই শরীরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। কারো মাথা ঘোরায় আবার কেঁউকেঁউ বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে বিমান ভ্রমণের সময়ও অনেকের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। মূলত মাটি থেকে আকাশে ওড়ার সময় নির্দিষ্ট একটি উচ্চতার ওপরে বিমান উঠে গেলে বায়ুর চাপ কমে যায়। ফলে শরীরে কিছু পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। কমবেশি সবারই এমন সমস্যা হয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বেশ কিছু খাবার। তাই বিমানে ওঠার আগে বা পরে সেই সব খাবার না খাওয়াই ভালো।
ভ্রমণের আগে অনেকেই সামনে যা পান খেয়ে নেন। সেক্ষেত্রে খাবারগুলো আপনার পছন্দের হলেও ভ্রমণের সময় পেটকে শান্ত করার পরিবর্তে বরং অশান্ত করে তুলবে। তাই আসুন জেনে নেই বিমান ভ্রমণের আগে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত-
সকালে খালি পেটে ফল খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদরা। ফল হিসাবে আপেল স্বাস্থ্যকর হলেও খুব একটা সহজপাচ্য নয়। তাই আপেল খেলে গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যা হতে পারে। শুধু গোটা ফল নয়, আপেলের রস খেলেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। তার বদলে খেতে পারেন কলা, পাকা পেঁপে বা কমলালেবুর মতো ফল।
এছাড়াও ব্রকোলির অনেক পুষ্টিগুণ। কিন্তু বিমানে ওঠার আগে যদি হালকা খাবেন ভেবে সেদ্ধ সবজির মধ্যে ব্রকোলি দিয়ে থাকেন, তা হলেও শরীরে অস্বস্তি বাড়তে পারে। কারণ, শুধু ব্রকোলি নয় কপি গোত্রের যে কোনও সবজি থেকে অনেকেরই পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
বিমানে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ খাবারের তালিকায় অনেক সময়েই বিনস রাখা হয়। এই বিনসের মধ্যে এমন এক ধরনের ফাইবার থাকে, যা হজম করা মুশকিল। তাই বিমানে ওঠার আগে বিনস না খাওয়ায় ভালো। বিমানবন্দর জুড়ে নানা রকম খাবারের দোকান। তা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে যদি মুখরোচক খাবার খেয়ে ফেলেন, তা হলে শরীর খারাপ লাগতেই পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত, ভাজা বা চিজ দেয়া খাবার খেলে অম্বল হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
সকালে ঘুমের ঘোর আর বিমানের হাড়হিম করা ঠান্ডা কাটাতে এক কাপ চা বা কফি না খেলেই নয়। কিন্তু কফি শরীর থেকে পানি শুষে নিয়ে পানির ঘাটতি তৈরি করে। অবশ্য এক্ষেত্রে শুধু চা, কফিকে দোষ দেয়া যায় না। যে কোনও নরম পানীয় খেলে একই রকম সমস্যা হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post