রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওমানে ভূমিকম্পে আঘাত হানার পর আজই ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করার ঘোষণা দিলো দেশটি। প্রথমবারের মতো এই ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসা আল হুসেইন। তিনি বলেন, আমরা ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছি যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব এবং ঝুঁকি বিষয়ক ওয়েবসাইট থিংকহ্যাজার্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওমানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মাঝারি। এছাড়া আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ওমানে বিধ্বংসী ভূমিকম্প আঘাত হানার সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ। তবুও ভূমিকম্প নিয়ে বেশ প্রস্তুতি রয়েছে দেশটির।
ড. ইসা বলেন, ওমানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ২০ টিরও বেশি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যা ভূমিকম্পের উৎস, শক্তি এবং পরিমাণ নির্ধারণে সহায়তা করে। তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেশব্যাপী নতুন নেটওয়ার্ক এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে কম্পনের মাত্রা সম্পর্কে আরও ভাল জ্ঞান দেবে।
মূলত ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যেই পড়েছে ওমানের অবস্থান। আর এই প্লেটের গড় অনুমান ৬ কোটি ৬৭ লাখ বর্গ কিলোমিটার। এটি প্রধান টেকটনিক প্লেটের তৃতীয় বৃহত্তম। ইউরেশিয়ান প্লেট একটি ভূতাত্ত্বিক সক্রিয় প্লেট, এখানে আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই ওমানের মুসান্দাম থেকে সালালাহ পর্যন্ত স্কুলগুলোতে নতুন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে, যা আগামী ২০২৪ সালের শেষনাগাদ সমস্ত স্টেশন স্থাপনের কাজ শেষ বলে জানান ড. ইসা। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ ১০টি দেশ হলো জাপান, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, ইরান, তুরস্ক, পেরু, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ইতালি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post