শীতের মৌসুমে চাল, মাছ-মাংস, শাকসবজিসহ ভোগ্যপণ্যের দাম তুলনামূলক কম থাকে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতিও কম থাকে। কিন্তু এবার জানুয়ারি মাসে খাদ্য এবং নন-আ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, রেস্তোরাঁ ও হোটেল সেবা, আসবাবপত্রসহ নানাবিধ পণ্য সহ ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ওমানের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে, যা সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। বাড়তি মূল্যস্ফীতি নিয়ে বছর শুরু হলো ওমানের।
সর্বশেষ দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে ওমানের মুদ্রাস্ফীতির হার জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশে। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রধান পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ওমান অবজারভারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহস্থালি সরঞ্জাম এবং নিয়মিত গৃহস্থালির রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বিবিধ পণ্য ও পরিষেবাদি ২ দশমিক ০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বিনোদন ও সংস্কৃতিতে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, পোশাক ও জুতা ১ শতাংশ, পরিবহন শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ, শিক্ষা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, আবাসন, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে তেল ও চর্বি, দুধ, পনির ও ডিম, মাংস, রুটি ও সিরিয়াল, নন-অ্যালকোহল যুক্ত পানীয়, অন্যান্য খাবারের দাম ফল, চিনি, জ্যাম, মধু ও মিষ্টির দাম অনেকাংশে বেড়েছে। অপরদিকে মাছ ও সামুদ্রিক খাবার কমেছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। সবজির দাম কমেছে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ।
https://www.youtube.com/watch?v=CLkjCco1oa0&t=83s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post