ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, লাগেজ ভাঙা এবং লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগাসহ নানা ধরনের ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনিচ্ছাকৃত ভুলে আরেকজনের লাগেজ নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুরির অভিযোগও পাওয়া গিয়েছে। এসব ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা ব্যবহার ও নজরদারি বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা বললেও ভোগান্তি থামানো যাচ্ছে না।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাগেজ হারানোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় এয়ারলাইন্স দায়ী। বিমানবন্দর থেকে লাগেজ খোয়া গেলে সেটা খুঁজে বের করে যাত্রীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। ঢাকার বাসিন্দা তসলিম হোসেনকে ব্যবসার প্রয়োজনে নিয়মিত থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে হয়। তিনি বলছেন থাইল্যান্ড থেকে ফিরতে তার যেখানে দুই ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে বিমান থেকে বেল্টে লাগেজ পেতেও সময় লাগে আরও এক থেকে দুই ঘণ্টা।
অনেক সময় লাগেজগুলো এলোপাথাড়ি ছুড়ে লাগেজ ভাঙা, ভেতরে থাকা জিনিসপত্রের ক্ষতি হওয়ার অভিযোগও তিনি করেছেন। এজন্য লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের কর্মীদেরই দায়ী করছেন তিনি। গত বছরের অগাস্টে সিডনি ফেরত যাত্রী ফিরোজা জাহান ঢাকার বিমানবন্দরে নামার পর তার তিনটি লাগেজের দুটি হারিয়ে ফেলেন। এ নিয়ে অভিযোগ দায়েরের পর তিনি সম্প্রতি একটি লাগেজ অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেলেও, আরেকটির কোন হদিশ নেই। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে, লাগেজটি ওইদিন খালাস করা হলেও বিমানবন্দরে আসার পর থেকে তার কোন খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে তিনি বিমানবন্দরের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post