স্বপ্ন ছিল ওমান যেয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করার। কিন্তু সেখানে গিয়ে সেই স্বপ্ন অনেকটাই অধরায় থেকে গেল ভারতীয় এক নারীর। বিউটিশিয়ানের কোর্স করে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে ওমান গিয়েই চোখে নেমে আসে প্রবল অন্ধকার। তিনি জানতে পারেন চাকরির কথা বলে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে দেহব্যবসায়। সেই ব্যবসা না করতে চাইলে নেমে আসতো বর্বর নির্যাতন। এক ঘরের মধ্যে রাখা হতো তার মতো আরও কয়েকশত নারীকে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশকে নিয়ে দূতাবাসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
ওমান থেকে কলকাতায় ফিরে তিনি জানান, যৌন ব্যবসায় নামতে না-চাইলে জুটত কিল-লাথি আর লাঠির আঘাত। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যের গণ সংগঠন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে উদ্ধার করা গিয়েছে ওই তরুণীকে। সোমবার রাতে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তার পর থেকেই প্রবল জ্বর। সঙ্গে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ওমানের কালো দিনগুলো।
তিনি জানান, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওমানের আল বুরাইমিতে। সেখানে প্রায় ২০০ নারী আটকে আছেন। যাদের মধ্যে নেপাল, শ্রীলঙ্কা থেকে আনা নারীরাও আছেন। উদ্ধারকারীরা জানান, এদের একটি বিরাট চক্র সেখানে সক্রিয়। উদ্ধারকৃত সেই নারী জানান, কাজের জন্য গত ১৫ জানুয়ারি দালালের মাধ্যমে মুম্বাই হয়ে ওমানের আল বুরাইমিতে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছনোর পরেই তিনি বুঝতে পারেন, তিনি ফাঁদে পড়েছেন। দালালরা মোবাইল ব্যবহার করতে দিতো না। আলাদা ঘরে নিয়ে নির্যাতন করতো এবং ঠিক মত খাবারও দিতো না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী নারীর।
এদিকে, ওমানের রুই, সিব, বারকা, আল খয়ের, সালালাহসহ বেশকিছু অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এইসব দালালদের হাতে অসংখ্য বাংলাদেশি নারীও জিম্মি আছেন। যাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছে। আর এই চক্রে জড়িত আছে কিছু অসাধু বাংলাদেশিও।
সূত্র: আনন্দবাজার
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post