মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের কৃষিতে দারুণ সফলতা অর্জন করেছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। দেশটির কৃষির পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশি কৃষি উদ্যোক্তাদের হাতে। বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে নানা ধরনের সবজি ফলাচ্ছেন। এমনকি বাংলাদেশের তরমুজ কিংবা আরবের বিখ্যাত ফল সাম্মামও চাষ করছেন তারা। যা রফতানি হয় প্রতিবেশী দেশগুলোতেও। ওমানের সাহাম, সোহার, জালান ও সালালাহসহ বেশকিছু অঞ্চলে প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি কৃষি উদ্যোক্তা রয়েছেন। ওমানের কৃষি উদ্যোক্তাদের মধ্যে উন্যতম বাংলাদেশি নাজিম উদ্দিন।
যারা দেশটির কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছেন। মরুভূমির মাঝে দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। ক্ষেতের মধ্যে ফলানো হচ্ছে লাউ-কুমড়া থেকে যাবতীয় তরকারি। ফলের মধ্যে তরমুজের ফলনও ভালো। আর এসব সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রবাসী কৃষকরা। এ ছাড়া আরবের বিখ্যাত ফল সাম্মামের চাষও করছেন এই বাংলাদেশি কৃষকরা। আবার উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন দেশে রফতানির জন্য মাঠে কার্টুনে ভরছেন। একই সঙ্গে এসব উৎপাদিত সবজি আশেপাশের সুপার শপগুলোতেও বিক্রি করছেন তারা।
বাংলাদেশি কৃষকরা দেশটিতে কয়েক দশক আগে সেখানকার গ্রামীণ অঞ্চলে ছোট পরিসরে কৃষিকাজ শুরু করেন। বর্তমানে এমনও কৃষি খামার রয়েছে, যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ জন বাংলাদেশি কৃষকের কর্মসংস্থান হয়েছে। উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা যেমন মেটাচ্ছে, পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বাহরাইন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও রফতানি হচ্ছে। ওমানের প্রায় ৮০ ভাগ বাজার দখলে রয়েছে বাংলাদেশি কৃষি উদ্যোক্তাদের। বাংলাদেশ সরকার সুযোগ দিলে অনাবাদী ফসল থেকে সবজি উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে চান এইসব দক্ষ উদ্যোক্তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post