আনন্দঘন পরিবেশে ওমানের খাসাব অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসীদের মাঝে ই-পাসপোর্ট সহ কনস্যুলার সেবা দিলো বাংলাদেশ দূতাবাস। ১৯ থেকে ২১ তারিখ নাগাদ দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) রওশন আরা পলির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম এই সেবায় অংশগ্রহণ করেন। ওমানের বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড থেকেও দূতাবাসের এমন সেবা পেয়ে খুশি প্রবাসীরা।
এবারের ট্যুরে ৭৯ টি ই-পাসপোর্ট ও ৬৫ টি এমআরপি মিলে প্রায় ১৪৪ টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও একাধিক নিকাহনামা সহ ভিজিট ভিসা সত্যায়ন করা হয়। মাস্কাট থেকে শতশত মাইল অতিক্রম করে কাসাবে যেয়ে প্রবাসীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ায় দূতাবাসকে ধন্যবাদ দিয়েছেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আবু বকর সিদ্দিক।
বুখা থেকে আগত রেজাউল করিম নামে এক প্রবাসী বলেন, ওমানের মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই প্রদেশের প্রবাসীরা নানান সীমাবদ্ধতার কারণে চাইলেই মাস্কাট গিয়ে সেবা নিতে পারেনা। সালালাহ, ইবরি, বিরিমি সহ অন্যান্য অঞ্চলের প্রবাসীরা প্রয়োজন হলে সামান্য খরচে মাস্কাট গিয়ে সেবা নিতে পারে, এক্ষেত্রে খাসাব প্রবাসীদের বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন। কাসাব থেকে মাস্কাট আসা-যাওয়া করতে একজন প্রবাসীর খরচ হয় ১৫০ রিয়ালের উপর, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা।
যেখানে অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা-যাওয়ায় ২০ রিয়ালের বেশী খরচ হয়না। দ্বিতীয়ত দিনেদিনে আসা-যাওয়া করতে না পারায় অন্তত তিনদিন থাকতে হয় মাস্কাটে, এতো লম্বা সময় স্পন্সর থেকে ছুটি নেওয়াও কষ্টসাধ্য। আর তাই, অন্তত ৩ মাসে একবার হলেও এভাবে কাসাব প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার জন্য দূতাবাসের প্রতি অনুরোধ জানান স্থানীয় প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post