ব্রেইন স্ট্রোক করে আবদুল খালেক সিদ্দিক (৪৬) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) মালদ্বীপের তিনাধু আইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জানা গেছে, ওইদিন রাতে তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করলে সহকর্মীদের সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরতর হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সি-প্লেনে করে পার্শ্ববর্তী তিনাধু আইল্যান্ডে পাঠিয়ে দেন, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তিনাধু আইল্যান্ডে আবারও রক্তক্ষরণে নিস্তেজ হয়ে নুইয়ে পড়েন আব্দুল খালেক সিদ্দিক। এরপর দ্রুত তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মালদ্বীপ থেকে তার ভাগিনা নিজাম উদ্দিন জানান, কিছু দিন থেকে তার ফুপা বলছেন ছুটিতে দেশে যাবেন। তার ফুপা ওই আইল্যান্ডের একটি আবাসিক হোটেলের রুমে কাজ করতেন। গতকাল ফুপা অসুস্থতার কথা জানান। আজ কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসে যাবেন বলে জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন।
আবদুল খালেকের দেশের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখায়ল উপজেলার বাদাখারা গ্রামে। মরহুমের বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তার নিকটাত্মীয় আকতার হোসেন ও ছোট ভাই আবদুল হামিদ ভাইয়ের মরদেহ হাই কমিশনারের সহযোগিতায় দেশে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. সোহেল পারভেজ জানান, খালেকের পরিবারের সম্মতিতে মরদেহ মালদ্বীপে দাফন করা হবে। তিনি যেখানে কাজ করতেন সেখান থেকে পরিবারকে আর্থিক সহায়তার বিষয়ে চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে আবদুল খালেকের মরদেহ মালদ্বীপের তিনাধু আইল্যান্ডের মর্গে রাখা হয়েছে। খালেকের মৃত্যুতে মালদ্বীপ প্রবাসীরা মৃতের আত্মার মাগফিরাত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post