ফাইনালে ওমানকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গালফ কাপের শিরোপা জয় করেছে স্বাগতিক ইরাক। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে অত্যন্ত মর্যাদা পূর্ণ এই আসরে ১৯৮৮ সালের পর প্রথমবারের মত গালফ কাপ জিতেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি। আর তাই, ইরাকিদের একটু বেশি আবেগ ছিল এই খেলা নিয়ে। ১৯ জানুয়ারি বসরা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গালফ কাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বছরের পর বছর যে ট্রফিটার জন্য হাহাকার ছিলো, সেই ট্রফি জেতার মাহেন্দ্রক্ষণ দেখতে সকাল থেকেই বিপুল জনসমাগম হয়েছিলো। ৬৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামের বাইরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলো। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে ইরাক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচটি নিয়ে ইরাকিদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল।
ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ইরাকিরা স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে ৪ জন নিহত এবং ৬০জন আহত হন। বিশৃঙ্খলার কারণে ওমান থেকে সাপোর্টারদের বিশেষ ফ্লাইটও বাতিল করা হয়। এমতাবস্থায় ফাইনাল ম্যাচটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়, যদিও পরবর্তীতে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে এবং নির্ধারিত স্থানেই অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেয় আরব গালফ ফুটবল ফেডারেশন।
সবশেষে ইরাকিদের সেই আবেগ আর ভালোবাসা রক্ষা করেছে খেলোয়াড়রা। ওমানের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জয়ের মাধ্যমে ৩য় বারের মত ট্রফিটি নিজের ঘরে নিতে সক্ষম হয় ইরাক। জানাগেছে, অ্যারাবিয়ান গালফ কাপ বা সংক্ষেপে গালফ কাপ নামে পরিচিত এই টুর্নামেন্টটি একটি দ্বিবার্ষিক ফুটবল প্রতিযোগিতা। আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের ৮টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৯৭০ সালে প্রথম গালফ কাপ অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ বার গালফ কাপ জিতে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল হিসেবে রয়েছে কুয়েত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post