আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যক উপাদানগুলোর অন্যতম হলো জ্বালানি। বিদ্যমান জ্বালানির অবস্থা মূলত গ্যাস, কয়লা, তেল ইত্যাদি জৈব জ্বালানির ন্যায় বাণিজ্যিক জ্বালানির উৎসের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। আর এই জ্বালানী নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর একটি সূচকে ওমানের অবস্থান ষষ্ঠ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় প্রথম স্থান দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ওমান ডেইলির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওমান নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বিদ্যুৎ প্রাপ্তির জন্য নিয়ন্ত্রক সূচকগুলোতে ভাল অবস্থান অর্জন করেছে। ওমানের শতভাগ মানুষের বিদ্যুৎ প্রাপ্তি ও পরিষ্কার রান্নার সুযোগ রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, রাইজ প্রতিবেদনে ওমানকে জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়, উত্তর আফ্রিকায় পঞ্চম এবং বিশ্বব্যাপী ৩৮ তম স্থান দেওয়া হয়েছে। জিসিসিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সামগ্রিকভাবে প্রথম অবস্থানে আছে, তারপরে ওমান, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন এবং কুয়েত রয়েছে। মূলত যে শক্তির উৎস নিঃশেষ হয়ে যায় না; অল্প সময়ের মধ্যেই পুনরায় ব্যবহার করা যায়, তা-ই হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এ জ্বালানির উৎস হচ্ছে সৌরশক্তি, ভূ-তাপ, বায়ুপ্রবাহ, জলপ্রবাহ, সমুদ্রঢেউ, সমুদ্রতাপ, জোয়ার-ভাটা, বায়োগ্যাস, বায়োফুয়েল, আবর্জনা ইত্যাদি।
এসব উৎস কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় অনায়াসেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেও। তাতে করে খনিজ জ্বালানির ওপর চাপ কমে আসছে অনেকটাই। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা করতে। পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য হিসাবে ঠিক রাখতে তারা কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টায় আন্দোলন করে যাচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি অথবা খনিজ জ্বালানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হতে পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশবাদীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post