হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ০২ কেজি স্বর্ণ সহ একজন হেল্পলাইন স্টাফ এবং একজন যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। আজ সন্ধ্যা ০৭ টার সময় বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করার পর এপিবিএনের গোয়েন্দা দল তাদের দুজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছে ১৬ টি গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম গোল্ড জুয়েলারি সহ মোট ১৯৫৫ গ্রাম গোল্ড উদ্ধার করা হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, আজ সন্ধ্যা ০৭ টায় দুবাই থেকে আসা এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যাত্রী জুয়েল(৩০) বিমানবন্দরে অবতরন করেন। বিমানবন্দরে অবতরনের পর আগে থেকে ফোনে যোগাযোগ করে রাখা হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের (৩৭) সাথে দেখা করেন।
এ সময় ০৪ নাম্বার এরাইভাল লাগেজ বেল্টের কাছে যাত্রী জুয়েল হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের কাছে একটি কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংক এবং টেপে মোড়ানো ০৪ পিস গোল্ডবার দেন। এসময় যাত্রীর কাছে আরো ০২ টি গোল্ড বার এবং ৯৯ গ্রাম গয়না ছিল। এপিবিএনের গোয়েন্দা দল সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের নজরে রাখে এবং গ্রীন চ্যানেল পার হওয়ার পর তাদের দুজনকেই আটক করে।
এসময় জুয়েলের কাছে থাকা পাওয়ার ব্যাংকের ভিতরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১০ টি গোল্ডবার খুঁজে পায় এপিবিএন, এছাড়াও তার প্যান্টের পকেট থেকে তল্লাশী করে আরো ০৪ টি গোল্ডবার পাওয়া যায়। অপরদিকে যাত্রীকে তল্লাশী করে আরো ০২ টি গোল্ডবার এবং গয়না সহ মোট ১৯৫৫ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
যাত্রী জুয়েল এবং হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে তিনি এই গোল্ড সংগ্রহ করেন। ঢাকা পর্যন্ত গোল্ডবার পৌঁছে দিতে পারলে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার কথা তার৷ সেই লক্ষ্যেই তিনি বিমানবন্দরে কর্মরত হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং এই স্বর্ণ চোরাচালান করার পরিকল্পনা করেন।
যাত্রী দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষারত এক বাংলাদেশি ব্যক্তির কাছে থেকে এই গোল্ড সংগ্রহ করেন। ঢাকায় এসে প্রথমেই তিনি আমজাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বেল্ট এলাকায় স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা পাওয়ার ব্যাংক এবং গোল্ডবার দেন। কিন্তু আমজাদ এবং জুয়েল এপিবিএনের অভিযানে ধরা পড়ে যান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এর আগেও তারা একই পদ্ধতিতে সোনা চোরাচালান করেছেন। এক সপ্তাহ আগের একটি চালান চোরাচালানে সহযোগিতা করায় আমজাদ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post