ফের নেপালে বিমান দুর্ঘটনা। ৭২ জন আরোহী নিয়ে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনটিতে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে ৬৮ যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে যাওয়ার সময় প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। রোববার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।
দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনটি ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নেপালি এই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশ্যে উড়ে আসা ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২ মডেলের একটি ফ্লাইট রোববার সকালে কাস্কি জেলার পোখরায় বিধ্বস্ত হয়।
#Tragedy in #Nepal. A #Yeti airline passenger plane crashed at #Pokhara International #Airport in Nepal with 72 passengers on board. pic.twitter.com/jFGuaggQMh
— Donato Yaakov Secchi (@doyaksec) January 15, 2023
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন, পুরোনো বিমানবন্দর এবং পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয় এবং এতে মোট ৬৮ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্যসহ ৭২ জন আরোহী ছিলেন।
বিশ্বের মধ্যে বিমান দুর্ঘটনার কালো অধ্যায় রয়েছে নেপালের। এভিয়েশন সেফটি ডাটাবেস অনুযায়ী, ১৪৭,১৮১ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশটিতে গত তিন দশকে ঘটেছে ২৭টি বিমান দুর্ঘটনা। আর তাতে ক্রুসহ মারা গেছেন সাড়ে চার শর বেশি আরোহী।এসব দুর্ঘটনায় নেপালের তারা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্ত হয় তিনবার। তাতে মারা যান ৬৫ জন। রবিবার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিও তারা এয়ারলাইনসের।
এভিয়েশন সেফটি ডাটাবেসের তথ্য অনুযায়ী, নেপালে ১৯৯২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৭ বছরে ২৬টি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে ক্রুসহ ৪২৮ জন। গত তিন দশকের ২০টি দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে কিছু কারণ বের করা গেছে। এর মধ্যে রুক্ষ পার্বত্য অঞ্চল, নতুন বিমান ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগের অভাব এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণ এসব দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী। এ ছাড়া নেপালের আকাশপথগুলো অধিকাংশই পাহাড়ি এলাকায দিয়ে গেছে। বৈরি আবহাওয়ায় হঠাৎ বাঁক নিতে হয় এসব রুট থেকে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
নেপালে সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৩৩৮ মিটার ওপরে অবস্থিত কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। চারপাশে উঁচু ও দীর্ঘ পর্বতবেষ্টিত বিমানবন্দরটি এমন এক উপত্যকায় অবস্থিত, যেখানে বিমানগুলোর কৌশলে যাতায়াতের জন্য জায়গা খুব কম। অধিকাংশ পাইলটের দাবি, হিমালয়ের উঁচু, খাড়া এবং সরু ল্যান্ডিং স্ট্রিপগুলো নেভিগেট করা প্রায় দুঃসাধ্য।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post