মালয়েশিয়ায় কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে পারবে। এর মাধ্যমে দেশটিতে সহজ হচ্ছে বিদেশি কর্মী নিয়োগ। এছাড়া দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের আবারও বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে অবৈধরা চাইলে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিদেশি কর্মী নিয়োগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। বৈঠক শেষে বিদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কয়েকটি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিয়োগকর্তারা তাদের প্রয়োজনের সীমাবদ্ধতা (কোনো পূর্বশর্ত বা কোটা) ছাড়াই ১৫টি দেশ থেকে বিদেশি কর্মী নিয়োগে অনুমতি পাবে। এছাড়া বিদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের জন্য একটি সফরের আয়োজন করা হবে।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ম্যানপাওয়ার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের (এমআরপি) জন্য বিশেষভাবে অবৈধ অভিবাসীদের রিক্যালিব্রেশন প্ল্যান ২.০ (আইআইআরপি) বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। আইআইআরপি ২.০-এর প্রধান পার্থক্য হলো দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা না করে কর্মী নিয়োগের শর্তগুলো আরও সহজ করা।
এর আগের প্রোগ্রামের অধীনে মালয়েশিয়ায় চার লাখ ১৮ হাজার ৬৪৯ জন বিদেশি কর্মী কাজের জন্য নিবন্ধিত হয়েছিলেন। এই নিবন্ধনের মেয়াদ গত বছরের (২০২২ সাল) ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। এবার যা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া তখন আরও দুই লাখ ৯৫ হাজার ৪২৫ জন অবৈধ অভিবাসী নিজ দেশে ফিরে যেতে রিটার্ন রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের অধীনে নিবন্ধিত হয়েছিলেন।
রিটার্ন রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম হলো, যারা বৈধ পাস ছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তাদের স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি বিদেশি কর্মী নিয়োগের গতি বাড়াতে পারি তাহলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এক শতাংশ বাড়বে।
এদিকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে বলেছেন, রিক্যালিব্রেশন কার্যক্রম চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের অধীনে যেসব নিয়োগকর্তারা যথাযথ ডকুমেন্ট ছাড়াই বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন, তাদের কর্মীদের বৈধ করার জন্য একটি ফি দিতে হবে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন সিদ্ধান্ত দ্রুতই কার্যকর হবে এবং এতে মালয়েশিয়ায় বিদেশি গৃহকর্মীরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন। তিনি বলেন, যে গৃহকর্মীরা তাদের ভিসা শেষেও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন, তাদের নিয়োগকর্তাদের কম্পাউন্ড দিতে হবে। এরপর আমরা এসব গৃহকর্মীদের কাজের পারমিট বাড়িয়ে দেবো।
সূত্র: জাগো নিউজ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post