ভাগ্য বদলের স্বপ্ন নিয়ে একেবারেই শূন্যহাতে গিয়েছিলেন ওমান। দীর্ঘ ৩০ বছর প্রবাস জীবনের নানা প্রতিকূলতা পেড়িয়ে আজ মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের আবুল কালাম আজাদ। সেই সাথে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের গোল্ডেন ভিসায় সম্মানিত করেছেন দুটি দেশের সরকার। এক সময়ে স্বল্প বেতনে মাসব্যাপী শ্রম দেয়া আবুল কালাম এখন কোটি টাকার মালিক।
জানাগেছে মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধশালী এই দেশটিতে প্রায় ৬ লাখের উপর বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছেন। একটা সময় দেশটিতে অধিকাংশ শ্রমিক থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করেছে। এখন অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশী দেশটি থেকে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সিআইপি নির্বাচিত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক সফলতার মধ্য দিয়ে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন বেশ কিছু প্রবাসী। তারমধ্যে আবুল কালাম আজাদও একজন।
চট্টগ্রামের চাঁদগাও থানার বহদ্দারহাট এলাকার আবুল কালাম বিদেশে পাড়ি জমান ১৯৯২ সনে। দীর্ঘ ৩০ বছর প্রবাস জীবনে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বর্তমানে সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছেন এই ব্যবসায়ী। ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিল্ডিং মেটারিয়াল ও রেন্ট এ কারসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন আজাদ। বিনিয়োগ করেছেন প্রায় শত কোটি টাকা। করেছেন অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান। মানুষের কল্যাণে সমাজ সেবার পাশাপাশি দেশে বিদেশে কয়েকটি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃত্বও দিচ্ছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের বিজনেস হাব তৈরির জন্য প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সংগঠন এনআরবি সিআইপি এ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে। এই সংগঠনের নানা কার্যক্রমে আবুল কালাম আজাদ ছিলেন অন্যতম ভূমিকায়। তাছাড়া ওমান ও আমিরাতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ঐক্য গড়ে তুলতে এ অদম্য ব্যবসায়ীর নিরলস প্রচেষ্টা সকলের কাছে ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post