দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন সালাম মিয়া। তাকে নিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন পরিবারের লোকজন। বিমানবন্দর থেকে ঠিকঠাকমত সবকিছু সম্পন্ন করে পরিবারের সবার সাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানাও দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় মাঝপথেই সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সালাম মিয়া সহ আরো ৪জন। শনিবার (৭ জানুয়ারি) এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুরে। শনিবার ভোরে উপজেলার সাহাপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই ট্রাক ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রবাসী ও শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শুকনাদি গ্রামের প্রবাসী সালাম মিয়া (৩৫), ১২ বছর বয়সী সিহাব মিয়া, ২০ বছর বয়সী সাফিয়া বেগম, ১ বছর বয়সী সাফিয়ার শিশুকন্যা হাবিবা জান্নাত এবং একই উপজেলার দশভাগ গ্রামের মাইক্রোবাস চালক সাতির আলী (৩৫)।
নিহতদের স্বজনরা জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী সালাম মিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আনতে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে মাইক্রোবাসযোগে ঢাকায় যান তার পরিবারের সদস্যরা। একই দিন রাতে ঢাকা থেকে ফেরার পথে ঘন কুয়াশার মধ্যে উপজেলার সাহাপুর নতুনবাজার এলাকায় তাদের মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে আরও একটি ট্রাক দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসে থাকা শিশু ও চালকসহ পাঁচজন মারা যান।
এ সময় আহত হয়েছেন একই মাইক্রোবাসের যাত্রী রাজু আহমেদ ও তার বাবা নূর ইসলামসহ এক বৃদ্ধ। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে মাধবপুর থানা ও শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ এবং দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোঁকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। এদিকে, বর্তমানে দেশের অধিকাংশ এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিমানবন্দর থেকে গাড়ি নিয়ে সাবধানে বাড়ি যেতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post