সোনার হরিণের আশায় অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে চেয়েছিলেন রিপন মিয়া (৩৯)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় আলজেরিয়া থেকে স্পেন যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান তিনি। রিপন মিয়ার দেশের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মুতাসিমুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, গত ৩১ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে আলজেরিয়ার ওরান থেকে রাতে স্পিডবোটে করে অন্যান্য দেশের আরও ১৮ অভিবাসীকে নিয়ে রিপন মিয়া রওনা হন স্পেনের উদ্দেশ্যে। উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ছয় ঘণ্টার যাত্রা শেষে যখন স্পেনের উপকূল দৃষ্টিসীমায় আসে তখন নৌকা থেকে তারা লাফিয়ে পড়েন।
এতে পানিতে ডুবে মারা যান রিপন মিয়া ও মরক্কোর এক নাগরিক। আর বাকি ১৬ জন স্পেনের আলমেরিয়ায় পৌঁছান, তাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি রয়েছেন। স্পেনের বেসরকারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য আইডেন্টিফিকেশন অফ মিসিং মাইগ্র্যান্টস’ (সিআইপিআইএমডি) এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মুতাসিমুল ইসলাম আলমেরিয়ায় গিয়ে রিপন মিয়ার লাশ শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রীর বড় ভাই সাইফুল ফারুকির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জীবিকার তাগিদে গত আগস্টে ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যান রিপন মিয়া। সেখান থেকে আলজেরিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। অতিরিক্ত ভ্রমণক্লান্তিতে তার মৃত হয়ে থাকতে পারে। রিপনের এক সন্তান রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post