ওমান সরকার ইসরায়েলের ক্রমাগত, উস্কানিমূলক এবং অবৈধ কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবার ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে একথা জানান হয়। পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরাইলি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর পরিদর্শন নিয়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সত্তাহ। এ ছাড়া বেন গাভীর আল-আকসা পরিদর্শনকে ‘বিপজ্জনক’ উল্লেখ করে সতর্ক করেছে সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, একটি দখলদার বাহিনীর সুরক্ষায় আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য ইসরায়েলের তার একজন কট্টরপন্থী কর্মকর্তাকে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ওমান জোর দিয়ে বলেছে যে এই পদক্ষেপটি মুসলিম অনুভূতির উস্কানি এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে, ওমান ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার রক্ষা, ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের অবসান এবং একটি ন্যায্য ও ব্যাপক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ঘিরে ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা চরমে। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরাইলি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর পরিদর্শনের পরই উত্তেজনার সূত্রপাত। স্থানটিতে ১৫ মিনিট অবস্থান করেন ইতামার। পরে এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, হামাসের হুমকিতে মাথা নত করবে না ইসরাইল সরকার। একই সঙ্গে আল-আকসা ইহুদিদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত হওয়ায় এ স্থান সবার জন্যই উন্মুক্ত বলে দাবি করেন তিনি।
নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েই ডানপন্থি এই নেতার আল-আকসা মসজিদ সফর ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করেছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সত্তাহ বলেন, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের আবেগ নিয়ে খেলতেই গাভী আল-আকসায় গেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইলি মন্ত্রীর এই সফর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের আবেগের ওপর বড় আঘাত। তারা পবিত্র এই মসজিদকে টেম্পল বানাতে চায়। এটা পুরোপুরি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, সব চুক্তিবিরোধী কর্মকাণ্ড। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post