ওমানের মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ লাখে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত ওমানের বিভিন্ন বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের আগমন ও প্রস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দুকম বিমানবন্দর ব্যবহারের দিক দিয়ে প্রথমে আছে ভারতীয়রা, এরপর অবস্থান বাংলাদেশীদের ও পাকিস্তানিদের। মঙ্গলবার ওমান অবজারভারের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।
মাস্কাট, সালালাহ এবং সুহার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের আগমন ও প্রস্থানের সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ১৭ টি এবং আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট ২০২১ সালে ২১ হাজার ৪৬৬ থেকে ১৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানবন্দরগুলোর (আগমন, প্রস্থান এবং ট্রানজিট) ব্যবহার করে মোট যাত্রীর সংখ্যা ২০২২ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত ৭৮ লাখে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি ছিল।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে মাঙ্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আগত (আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ) ফ্লাইটের সংখ্যা ১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালের অক্টোবরের শেষে ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৫ জন যাত্রীতে উন্নীত হয়েছে যা ২০২১ সালে ছিল ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭ জন।
সালালাহ বিমানবন্দরে ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ হাজার ২০৬ টি ফ্লাইটে (আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ) যাত্রীর সংখ্যা ৭৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে যা ২০২১ সালে ৪ হাজার ১২১ টি ফ্লাইটে ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৭৬ জন ছিল।
২০২২ সালের অক্টোবরের শেষে সুহার বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটের সংখ্যা (আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ) ৭৩৯ টি ফ্লাইটে পৌঁছেছে, যা ৪১৩ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুকম বিমানবন্দরে ২০২২ সালের অক্টোবরের শেষ নাগাদ ৫৪৪টি ফ্লাইটের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের (আগত ও প্রস্থান) সংখ্যা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২১ সালের একই সময়ে ৫১৮ ছিল। ২০২২ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংখ্যা ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৫৪ হাজার ৫৮৮ জন যাত্রী হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post