প্রবাসী ছেলে শাহিন সরদারের (৪৭) মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বাবা আকুবালী সরদার (৭৮)। বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এলাকাবাসীর মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রবাসী শাহিনের লাশ দেশে ফিরে না আসলেও বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা আকুবালী সরদারকে শুক্রবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্তানে দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঙ্গিলা গ্রামের।
শনিবার সকালে মৃত আকুবালীর মামাতো ভাই রুহুল আমিন সরদার জানান, গত ২২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে শাহিন সরদার স্টোক করে দুবাইতে বসে মৃত্যুবরণ করেন। ছেলের মৃত্যুর খবর গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে জানতে পারেন আকুবালী। এরপরই তিনি চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
প্রথমে তাকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ও দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই মৃত্যুবরণ করেন আকুবালী। সূত্রমতে, অসহায় পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার যোগাতে বিগত ১৬ বছর পূর্বে শাহিন সরদার দুবাইগমণ করেন। সবশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ছুটি শেষে শাহিন বাড়ি থেকে পুর্নরায় দুবাইগমণ করেন।
শাহিনের স্ত্রী চম্পা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে স্বামীর সাথে তার সর্বশেষ মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তখন শাহিন তাকে জানিয়েছিলেন, বুকের ডান পাশে একটু ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। পরে ওইদিন রাতে খবর পান তার প্রবাসী স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিকট আত্মীয়রা সবাই জানলেও তার শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ির কাছে কয়েকদিন চাঁপা রাখা হয়। পরবর্তীতে লোকমুখে গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে শাহিনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তার বৃদ্ধ বাবা ও মা। চম্পা বেগম তার স্বামীর লাশ দুবাই থেকে দেশে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post