মদের উপর বেশ কড়াকড়ি আরোপ করলো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শান্তিপ্রিয় দেশ ওমান। এখন থেকে দেশটিতে মদ উৎপাদন এবং পাবলিক প্লেসে মদ খাওয়াকে গুরুতর অপরাধ বিবেচনায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় আনা হয়েছে। আইন অমান্য করলে দণ্ডবিধির ২৮৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বনিম্ন এক মাস ও সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাভোগ করতে হবে। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ১০০ রিয়াল থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ সমপরিমাণ অর্থ জরিমানার আইন করা হয়েছে।
এই আইনের দণ্ডবিধির ২৮৫ ধারা বাণিজ্যিক এবং উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি কেউ মদ উৎপাদন, আমদানি বা ব্যবসা করে কিংবা কেউ অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের জন্য একটি স্থান স্থাপন বা ব্যবস্থা করে এবং যে কেউ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স ছাড়াই অ্যালকোহল সম্পর্কিত কোনও কার্যকলাপ চালায়, তাহলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই অপরাধে সর্বনিম্ন ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল সাজা হিসেবে আরোপ করা হবে। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ৩০০ রিয়াল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০০ রিয়াল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন এই আইনে মদ, উপকরণ এবং এর উৎপাদন বা পরিবহন বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি অপরাধ সংঘটিত স্থানটি বন্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল পরিবেশন সংক্রান্ত ধারা ২৮৭ অনুযায়ী, শাস্তির মধ্যে রয়েছে সর্বনিম্ন এক মাস এবং সর্বোচ্চ এক বছরের জেল। একই সঙ্গে ১০০ থেকে ১০০০ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি কেউ ১৮ বছরের নীচে কাউকে অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় পানীয় অফার করে বা তাকে এটি ব্যবহার করতে প্ররোচিত করে, তাহলে সেই দোকান বা যে স্থানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ : আমানত নিয়ে
প্রবাস থেকেই খোলা যাবে বিকাশ ও নগদের
ওমান প্রবাসী বাংলাদেশি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’র লাশ
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিলো ওমানের
শিশু আয়াতকে খুন করার ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিলো অপরাধি
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post