‘বিদেশে বাড়ি করতে টাকা নিয়ে গেছে হুন্ডি করে। টাকা তো আর উড়ে যেতে পারে না। ব্যাংকিং চ্যানেলে দিয়েও নিতে পারেনি, তাহলে কীভাবে গেলো! হুন্ডি করে টাকা নিয়ে গেছে, বিদেশে বাড়ি করেছে। সেই বাড়ি বৈধ করতে পারবে দেশে ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিলে। অথচ বৈধ আয় করলে ২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয় ‘শুধু প্রবাসীদের দুঃখের কথা বললে হবে না। সমাজে একটি ন্যায়বিচার থাকতে হবে। যারা ভালো আছে তাদের স্যাক্রিফাইস করতে বলবেন, আর যারা টাকা হুন্ডি করে নিয়ে গেছে, তাদের প্রটেকশন দেবেন, তাহলে তো কিছুই থাকবে না।’ বল্লেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ‘সেফ স্টেপ অ্যাপ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আইএমএফের কাছে গেছি সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের জন্য। ২০ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রবাসী আয় ২৪ বিলিয়ন ডলারে যেতে লেগেছে ২ বছর। দুই বছরে চার বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। আজকে কোনও সমস্যাই হতো না। গত বছরের আগের বছরে ৮ লাখ কর্মী বিদেশ গেছে, আর গত বছর গেছে ১০ লাখ। ৮ লাখ কর্মী যখন গেছে, তখন আমাদের রেমিট্যান্স অনেক বেশি ছিল। যেটা ১০ লাখ যাওয়ার পর হয়নি। এমন কেন হচ্ছে। কয়েকটি কারণে এমন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খোলা বাজারের সঙ্গে ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার এক্সচেঞ্জ রেটে অনেক পার্থক্য। এখানে বিশাল পার্থক্য। আপনি ডিপ্রাইভ করছেন একটা গরিব মানুষকে। জমি বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে তারা কিন্তু স্বস্তিতে থাকে না। সেখানে তাকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। পুরো পরিবারের খরচ তাকে বহন করতে হয়। সে টাকা জমিয়ে একসময় দেশে গিয়ে ব্যবসা করবে এই চিন্তায় আছে। সেখানে আমরা তাকে বলছি, প্রতি ডলারে ১০-১২ টাকা স্যাক্রিফাইস করতে। একজন ব্যাংকার আমার সামনে বলেছেন, দেশপ্রেম গরিবের জন্য, ধনীর জন্য না। তাদেরই স্যাক্রিফাইস করতে হবে।’
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সালে বিশ্বমন্দার সময় কিন্তু বাংলাদেশে সমস্যা হয়নি। কারণ, আমরা রেমিট্যান্স ধরে রাখতে পেরেছিলাম। করোনার সময় অনেকেই বলেছিল যে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেটিও হয়নি। করোনার মধ্যে বিদেশে কর্মী যাওয়া কমে গেলেও রেমিট্যান্স কমেনি। আজকে বিশ্ববাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে এবং আমাদের আমদানিও অনেক বেশি ছিল। ছয় মাস আগেও প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন যে রিজার্ভ ৪০ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে যাবে। কিন্তু তেমনটি হয়নি।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের মহাসচিব মাহজাবিন খালেদ, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম, বোয়েসেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, রামরুর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. মেজবাহুল আলম প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
ওমানের জাতীয় দিবসের বাকি ২ দিন, উদযাপনে
ওমানে বিশ্বকাপের ছোঁয়া, মাস্কাটে পৌঁছেছে জার্মান
কাতার বিশ্বকাপে সেবা দিবে ৮ হাজার বাংলাদেশি
প্রবাসী কর্মীকে চাকরীচ্যুত করায় পৌনে দুই লাখ
ওমানের আল খয়েরে পুলিশের কঠোর অভিযান
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post