চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের ওপর কয়েক বছর ধরে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে— এমন অভিযোগ রয়েছে চীন সরকারের বিরুদ্ধে। এবার জানা গেল, অন্য গোত্রের পুরুষদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে উইঘুর নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। উইঘুরদের নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট (ইউএইচআরপি) জানিয়েছে এ তথ্য।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে উইঘুর নারীদের অন্য গোত্রে বিয়ে করতে জোর করা হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে এটি অনেকাংশে বেড়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম, নীতি এবং নথি, সরকারি কাগজপত্র এবং উইঘুর নারীদের তথ্য যাচাই-বাঁচাই করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। ‘উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বিবাহ: পূর্ব তুর্কিস্তানে আন্তঃজাতি বিবাহে সরকারি নীতি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব তুর্কিস্তানের হান পুরুষদের সঙ্গে উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হয়েছে।
এই তদন্তে দেখা গেছে, চীনের সরকার প্রত্যক্ষভাবে উইঘুর নারীদের হান চাইনিজ পুরুষদের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে আত্মীয়করণে বাধ্য করছে। ইউএইচআরপির প্রধান নির্বাহী ওমর কানাত বলেছেন, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আরেকটি লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিষয় সামনে আসলো। এ সহিংসতার বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, উইঘুর নারীদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এসব সহিংসতা থামাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আরো পড়ুন:
ওমানের জাতীয় দিবসের বাকি ২ দিন, উদযাপনে
ওমানে বিশ্বকাপের ছোঁয়া, মাস্কাটে পৌঁছেছে জার্মান
কাতার বিশ্বকাপে সেবা দিবে ৮ হাজার বাংলাদেশি
প্রবাসী কর্মীকে চাকরীচ্যুত করায় পৌনে দুই লাখ
ওমানের আল খয়েরে পুলিশের কঠোর অভিযান
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post