দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় চলতি বছর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিআইপি হচ্ছেন ওমান থেকে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালের জন্য ৬৭ জন অনাবাসী বাংলাদেশীকে সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে নির্বাচিত করতে যাচ্ছে সরকার। নির্বাচিত সিআইপিরা প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে দুই বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত দেশ বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ সহ সরকারের নানা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন এই সিআইপিরা। বিস্তারিত প্রতিবেদনে…
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২০ সালের জন্য ৬৭ জন অনাবাসী বাংলাদেশীকে সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন-বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ৫৭ জন এবং বিদেশে বাংলাদেশী পণ্য আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশী ক্যাটাগরিতে ১০ জন রয়েছেন। প্রাথমিক বাছাই শেষে সুপারিশের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে, এবছর ওমান প্রবাসীদের মধ্যে আছেন, ইয়াসিন চৌধুরী, কবির আহমেদ, তৌফিকুজ্জামান, রফিকুল আলম, উত্তম কুমার সাহা, তৌহিদুল আলম, আজিমুল হক, জসিম উদ্দিন, সামসুল আজিম, নুরুল আমিন, মোরশেদা কবির, উৎপল সাহা ও আবু নছর। এরমধ্যে ইয়াসিন চৌধুরী টানা আট বারের মতো সিআইপি নির্বাচিত হচ্ছেন।
আমিরাত প্রবাসীদের মধ্যে আছেন, মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, অলিউর রহমান, মনির হোসেন, এমাদুর রহমান, বায়জুন নাহার চৌধুরী, ইজাজ হোসেন, শাহজাহান বাবলু, আবুল কালাম, মোহাম্মদ শফি, ইউনুছ মিয়া চৌধুরী, মাহবুব আলম, জসিম উদ্দীন, আনিস উদ্দীন, আবু সাঈদ মো: হায়দার, মোরশেদুল ইসলাম, রিপন দত্ত, জেসমিন আক্তার,দেলোয়ার হোসেন।
এছাড়াও থাইল্যান্ড প্রবাসী কামরুজ্জামান, সৌদি আরব প্রবাসী নাসির উদ্দিন, জাপান প্রবাসী কাজী সারওয়ার হাবীব, সুলতান মাহমুদ, অঞ্জন কুমার দাশ, কাতার প্রবাসী উমর ফারুক, এনামুল হক চৌধুরী, কুয়েত প্রবাসী মনির হোসেন, ইতালি প্রবাসী জাহাঙ্গীর কবির, তাহমিনা আক্তার মিতু, মালয়েশিয়া প্রবাসী ছাইদূর রহমান, সুইডেন প্রবাসী কাজী শাহ আলম, গ্রিস প্রবাসী আল আমিন শেখ, শামসুল আলম, ব্রুনাই দারুসসালাম প্রবাসী হায়তাজ উদ্দিন ও রাশিয়া প্রবাসী আলমগীর জলিল রয়েছেন।
বিদেশে বাংলাদেশী পণ্য আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশী ক্যাটাগরিতে ১০ জন রয়েছেন। এর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রবাসী আখতার হোসেন, অহিদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মোজাম্মেল হক, সেলিম,কাতার প্রবাসী জালাল আহমেদ, থাইল্যান্ড প্রবাসী রিয়াজ করিম খান, ইতালি প্রবাসী নজরুল ইসলাম, মালদ্বীপ প্রবাসী সোহেল রানা, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মারুফা আহমেদ, কুয়েত প্রবাসী আবুল কাশেম আছেন।
নির্বাচিত সিআইপিরা প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে দুই বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এ ছাড়া সিআইপিরা দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। পাশাপাশি বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাবেন।
এছাড়া বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট আইন, ১৯৮০-এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন এই সিআইপিরা।
আরো পড়ুন:
সৌদি থেকে বাংলাদেশে এলো প্রবাসী হারুনের ‘লাশের টুকরো’
প্রায় ২০ লাখ পিস ইয়াবাসহ সৌদিতে বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৯
১৪ লাখ কর্মী নিবে কানাডা, মিলবে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ
ইত্যাদি পার্টি, মুসকিল লীগ, গরীব পার্টি ইসির নিবন্ধন চায়
প্রবাসে মারা গেলে সরকারিভাবে মরদেহ আনবেন যেভাবে
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post