কর্মী সংকটে ভুগছে গোটা কানাডা। বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান এখন অবসর নিচ্ছেন ও সবচেয়ে দক্ষ কর্মীরা দেশত্যাগ করছেন। এর ফলে দেশটির ব্যবসায়িক অবস্থা এখন ভালো নেই। শ্রমিকের তীব্র ঘাটতির সঙ্গে লড়াই করছে দেশটি। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ কর্মসংস্থান খালি আছে। সেটি পূরণ করতে রেকর্ড টার্গেট নির্ধারণ করছে কানাডার সরকার। আগামী তিন বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে নেওয়া হবে এসব কর্মী। কানাডার নতুন নীতি প্রবাসীদের কাছে আকৃষ্ট করবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পহেলা নভেম্বর কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী শন ফ্রেসার এমটাই জানিয়েছেন।
দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা, ম্যানুফেকচারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বাণিজ্য খাতে কর্মী সংকটের কথা বলা হয়েছে। এসব খাতে দক্ষ কর্মী নিতে চায় কানাডা। দেশটির নীতিমালা বলছে ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৬৫ হাজার, ২০২৪ সালে ৪ লাখ ৮৫ হাজার, এবং ২০২৫ সালে ৫ লাখ কর্মীকে স্থায়ী অনুমতি দেওয়া হবে। ২০২৫ সালে প্রবাসী কর্মী গ্রহণের সংখ্যা বিগত বছরের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি হবে বলে জানিয়েছেন কানাডার সরকার।
চলতি বছর দেশটি প্রায় চার লাখ ৩১ হাজার নবাগতদের সহায়তা করার পথে রয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে সাড়ে ১৪ লাখ প্রবাসী কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। শন ফ্রেসার জানান, কানাডার আরও লোক প্রয়োজন। কানাডার মানুষ এটা বুঝে যে আমাদের কর্মী সংকট কমাতে হলে জনসংখ্যা বাড়াতে হবে। আমরা বর্তমান ডেমোগ্রাফিক অবস্থা পরিবর্তনে যদি কিছু না করতে পারি তাহলে আজ থেকে ১০-১৫ বছর পর কর্মী সংকট নিয়ে কথা বলতে হবে না।
আরো পড়ুন:
ওমানে সিগারেট সেবনে নতুন নিষেধাজ্ঞা
নোয়াখালীতে ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে ওমান থেকে আনা হচ্ছে এলএনজি
বিদেশগামী কর্মীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করলো সরকার
সৌদিতে কর্মী পাঠাতে জটিলতা, নিতান্তই ভুল বোঝাবোঝি বললেন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post