অভিবাসনের ক্ষেত্রে নতুন ভিসানীতি প্রণয়ন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নতুন নীতিতে বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে দক্ষ পেশাজীবীদের সুযোগ দিতে চায় দেশটির সরকার। ৩ অক্টোবর নতুন ভিসানীতি প্রকাশ করেছে আমিরাত। এটাকে দেশটির অভিবাসন ও আবাসন নীতির ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে অভিহিত করেছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
আমিরাত সরকারের কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সুলতান ইউসুফ আল নাউমি বলেছেন, এই নতুন ভিসা ব্যবস্থা কেবল বিদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি শুধু ঝামেলামুক্ত এবং সহজই করবে না, যারা দেশটিতে বসবাস, কাজ চাইছেন, সেই রকম মানুষদেরও সুবিধা দেবে। এটা বিনিয়োগের জন্য আরও ভালো হবে।
ভিসানীতিতে নতুন যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পর্যটন ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি। পর্যটকরা এখন সর্বোচ্চ ৬০ দিনের জায়গায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থান করতে পারবেন। এ ছাড়া দক্ষ পেশাজীবী কর্মীদের ১০ বছর মেয়াদি থাকার সুযোগ। একে গোল্ডেন ভিসা বলে অভিহিত করা হচ্ছে। মূলত এখন থেকে তিন বছর আগেই বিদেশি নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা চালু করে আমিরাত কর্তৃপক্ষ। এর আওতায় ৫ ও ১০ বছর মেয়াদে ভিসা দেয়া হয়। এর মধ্যে ১০ বছর মেয়াদে যে ভিসা দেয়া হয় সেটাই গোল্ডেন ভিসা।
আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ২০১৯ সালে এ গোল্ডেন ভিসা চালু করেন। এর আওতায় চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, ভালো ফল করা শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকদের সপরিবারে ১০ বছর আমিরাতে বসবাসের সুযোগ দেয়া হয়।
গোল্ডেন ভিসার ধরন নির্ভর করে মূলত বিনিয়োগের ওপর। আমিরাকে কমপক্ষে ১ কোটি দিরহাম তথা ২৭ লাখ ডলার বিনিয়োগ করলে যে কেউ দেশটিতে গোল্ডেন ভিসা নিয়ে বসবাস করতে পারবেন। নির্দিষ্ট কিছু ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে ভিসা ইস্যু করে আমিরাত কর্তৃপক্ষ, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবীরা সেখানে বসবাস, চাকরি ও পড়াশোনা করতে পারবেন। এ ছাড়া শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন খাতের মেধাবী পেশাজীবীরাও এর আওতাভুক্ত হবেন।
আরো পড়ুন:
ওমানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ‘ব্রুসেলোসিস’, দেশজুড়ে আতঙ্ক
দক্ষতা যাচাইয়ে সৌদি-বাংলাদেশ চুক্তি সই
বিকল্প পদ্ধতিতে ১০ হাজার কর্মী যাচ্ছে মালয়েশিয়া
কালের সাক্ষী সুলতান সুলেমান আমলের মসজিদ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post